<p>বই পড়ার সময় অনেকেরই চোখে ঘুম চলে আসে। এটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা, এবং অনেকেই বিষয়টিকে মজার ব্যাপার বলে মনে করেন।</p> <p>কিন্তু এর পেছনের বৈজ্ঞানিক কারণ কী?</p> <p>বই পড়া মস্তিষ্ক-কেন্দ্রীক কাজ। মানুষ যখন বই পড়ে, তখন আমাদের মস্তিষ্ককে ক্রমাগত তথ্য প্রক্রিয়াজাত করতে হয়, শব্দ থেকে অর্থ বের করতে হয় এবং গল্প বা তথ্যের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে হয়।</p> <p>এই প্রক্রিয়া চলাকালীন মস্তিষ্ক অনেকটা শক্তি ব্যয় করে। বিশেষত, দীর্ঘ সময় ধরে মনোযোগ ধরে রাখার চেষ্টা করলে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং বিশ্রামের প্রয়োজন অনুভব করে। ফলে ঘুম পেতে শুরু করে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মৃত্যুর কোলে বসে বড় আবিষ্কার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/25/1732538835-8063b741bff05a6cc1bb3df99e0bc8fb.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মৃত্যুর কোলে বসে বড় আবিষ্কার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/25/1450518" target="_blank"> </a></div> </div> <p>একটানা বই পড়ার ফলে চোখের পেশীগুলি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে, কম আলোতে বা ইলেকট্রনিক ডিভাইসে (ই-বুক) পড়ার সময় এই ক্লান্তি আরও তীব্র হয়। চোখের এই ক্লান্তি মস্তিষ্কে সিগন্যাল পাঠায়, যা ঘুমের অনুভূতি তৈরি করে।</p> <p>বই পড়ার সময় মানুষ সাধারণত আরামদায়ক অবস্থানে থাকে—হয় শুয়ে বা বসে। শরীর যখন আরামদায়ক অবস্থায় থাকে, তখন প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম সক্রিয় হয়। এটা শরীরকে শান্ত এবং শিথিল করে। ফলে মস্তিষ্কে মেলাটোনিন নিঃসরণ বাড়ে, যা ঘুমের সংকেত দেয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চিপসের প্যাকেটে বাতাস থাকে কেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/25/1732534734-06838d276504bc2b5fe5154d39079bce.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চিপসের প্যাকেটে বাতাস থাকে কেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/25/1450492" target="_blank"> </a></div> </div> <p>অনেক সময় বই পড়াকে আমরা একটি ‘ঘুমপাড়ানি’ কার্যকলাপ হিসেবে দেখে মানুষ। ছোটবেলায় ঘুমানোর আগে গল্প শোনার অভ্যাস অনেকের মধ্যেই ছিল। এই স্মৃতি ও অভ্যাস মনের মধ্যে গভীরভাবে প্রোথিত থাকে, ফলে বই পড়া শুরু করলেই ঘুমের প্রবণতা তৈরি হয়।</p> <p>যদি বইয়ের বিষয়বস্তু খুব জটিল বা কম আকর্ষণীয় হয়, তাহলে মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়। মন এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তখন ঘুম চলে আসে। একঘেয়ে বা বোরিং বই পড়লে ঘুমের আসার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রিলসের আসক্তি থেকে মুক্তির ৮ উপায়" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/25/1732532023-5673d767b93d97e26a38dc5c8be6f81a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রিলসের আসক্তি থেকে মুক্তির ৮ উপায়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/25/1450477" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বই পড়ার সময় আমাদের মস্তিষ্কে ডোপামিন এবং সেরোটোনিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের স্তর পরিবর্তিত হয়। এই রাসায়নিক পরিবর্তন আমাদের মনকে শান্ত ও শিথিল করতে পারে, যা ঘুমের দিকে নিয়ে যায়।</p> <p>মোট কথা হলো, বই পড়ার সময় ঘুম আসা একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। এটি আমাদের মস্তিষ্ক ও শরীরের ক্লান্তি এবং শিথিলতার প্রতিফলন। তবে কিছু অভ্যাস ও কৌশল প্রয়োগ করে এই প্রবণতা কমানো সম্ভব। তাই, বই পড়াকে আরও কার্যকরী ও উপভোগ্য করতে নিজের মন ও শরীরের প্রয়োজন বুঝে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।</p> <p>সূত্র: স্মিথসনিয়ান ম্যাগাজিন</p> <p> </p>
