<p>চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে প্রবাহিত মাথাভাঙ্গা নদী থেকে দখল দূষণ দূর করার দাবিতে হ্যান্ডবিল বিতরণ করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কমিটি।</p> <p>আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টায় চুয়াডাঙ্গা চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে ও কোর্টচত্বরে হ্যান্ডবিল বিতরণ করা হয়। এ সময় মাথাভাঙ্গা নদীতে আবর্জনা না ফেলা এবং কোনোভাবে নদী দূষণ না করা বিষয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করা হয়। এ সময় ‘কথা হলো একটাই, মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাতে চাই’ স্লোগান সম্বলিত হ্যান্ডবিলে নদীর ইতিহাস, বর্তমান অবস্থা, সংকটের কারণ, সংকটের প্রভাব এবং সম্ভাব্য করণীয় তুলে ধরা হয়।</p> <p>হ্যান্ডবিল বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মাথাভাঙ্গার সংকটের কারণ এবং সম্ভাব্য করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বসুন্ধরা শুভসংঘের চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট বদর উদ্দিন। প্রধান অতিথি ছিলেন মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী। হ্যান্ডবিল বিতরণ অনুষ্ঠানে হ্যান্ডবিলের লেখা পাঠ করেন বসুন্ধরা শুভসংঘের সভাপতি অ্যাডভোকেট বদর উদ্দিন। আলোচনা করেন বসুন্ধরা শুভসংঘের উপদেষ্টা ও কালের কণ্ঠ পত্রিকার চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি মানিক আকবর, বসুন্ধরা শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম, সাংবাদিক শেখ লিটন, মোহাম্মদ রোকন, আখতার আলী, বহুলুল হাসান, আলমগীর হোসেন প্রমুখ। </p> <p>অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী বলেন, ‘মাথাভাঙ্গা সংকটের কারণ হিসেবে আমরা ৮টি কারণ চিহ্নিত করেছি। সংকটের প্রভাব নিয়েও ৬টি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। সম্ভাব্য করণীয় নিয়েও প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের সচেতন হতে হবে। জনগণ সচেতন হলেও মাথাভাঙ্গা নদীকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে।’ </p> <p>সভাপতি অ্যাডভোকেট বদর উদ্দিন বলেন, ‘আমরা নিজেরা যদি মাথাভাঙ্গা নদীতে আবর্জনা না ফেলি, নদীর পানি যদি দূষণ না করি। নদীতে বাঁধ দিয়ে স্রোতে প্রতিবন্ধকতা না করি তাহলেই মাথাভাঙ্গা নদীকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে। আমরাই পারি আমাদের নদীকে রক্ষা করতে।’</p>