<p>নারী-কন্যার সুরক্ষা করি, সহিংসতা মুক্ত বিশ্ব গড়ি' স্লোগানে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ১৬ দিনব্যাপী নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপন করা হয়েছে।</p> <p>গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের চরইমারশনে বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলে র‍্যালি, মানববন্ধন ও আলোচনাসভার মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। </p> <p>বসুন্ধরা শুভসংঘের রাঙ্গাবালী শাখার সমন্বয়ক এম সোহেলের সভাপতিত্বে উপস্থিত থেকে আলোচনাসভায় বক্তব্য প্রদান করেন বেসরকারি সংস্থা ভিলেজ এডুকেশন রিসোর্স সেন্টারের (ভার্ক)-এর উপজেলা প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোহসীন তালুকদার, ভার্ক এর ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর কানিজ সুলতান।</p> <p>বক্তারা বলেন, বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, পরিবর্তিত হচ্ছে সমাজ কাঠামো, বিকশিত হচ্ছে সভ্যতা। পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে মানুষের জীবনযাত্রায়। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য, বন্ধ হয়নি নারী নির্যাতন। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী এবং সমাজের উন্নয়নে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। উন্নয়নের যেকোনো ধারাকে গতিশীল করতে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ জরুরি। আর এই পরিপ্রেক্ষিতে নারীর শিক্ষা থেকে শুরু করে যাবতীয় নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব। যদি কোনোভাবে নারীর এসব অধিকার ক্ষুণ্ন হয় এবং নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়তে থাকে তবে তা যেমন দুঃখজনক, অন্যদিকে জাতীয় জীবনে উন্নতির ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধক। </p> <p>তারা আরো বলেন, আন্তর্জাতিকভাবেও নারীর প্রতি সহিংসতাকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কেননা এ লঙ্ঘন বারবার মানবতা, অর্থনীতি, সমাজ সর্বোপরি দেশের যাবতীয় উন্নয়নকেই বাধাগ্রস্ত করে। যা কোনো ভাবেই প্রত্যাশিত নয়। নারীর ওপর সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য ১৯৮১ সালে ল্যাটিন আমেরিকার নারীদের সম্মেলনে ২৫ নভেম্বর ‘নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস’ ঘোষণা করা হয়।</p> <p>সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের শিক্ষক মো. তাওহীদ, উম্মে হানি এবং এনজিও কর্মী শামিমা আক্তার প্রমুখ।         </p>