<p>সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা একটি বিশাল সৌরঝড় শনাক্ত করেছেন। X7.1-শ্রেণির এই সৌরঝড়টি ভূচুম্বকীয় ঝড় এবং চমৎকার অরোরা সৃষ্টি করতে পারে।</p> <p>যখন সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে বিশাল পরিমাণ শক্তি জমা হয় এবং তা হঠাৎ করে ছিটকে বেরিয়ে আসে। তখন সৌরঝড় হয়। সৌরঝড়ের সময় সূর্যের বুকে তৈরি করে সোলার ফ্লেয়ার বা সৌরশিখা। এই শিখা সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে বিশাল পরিমাণ বিকিরণ ছিটকে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে। এতে থাকে আয়নিত কণা। এসব কণা পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের ওপর আঘাত করলে রেডিও ব্ল্যাকআউট সৃষ্টি হতে পারে।<br /> সৌরঝড়ের সময় আরেকটা ব্যাপার দেখা যায়, সেটাকে বলে করোনাল মাস ইজেকশন। অর্থাৎ সূর্য থেকে ইলেকট্রনের বিশাল প্লাজমা মেঘ ছিটকে পৃথিবীর দিকে আসে। এই ইজেকশন পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ায়ের সঙ্গে মিশে গেলে ভূচৌম্বক ঝড় তৈরি হয়।</p> <p>এই X7.1-শ্রেণির ঝড়টি হলো এক ধরনের X-Class সৌর শিখা। সৌরজগতের সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়গুলির মধ্যে এগুলো অন্যতম। এই ঝড় পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে স্যাটেলাইট যোগাযোগ, রেডিও সিগন্যাল এবং বিদ্যুৎ গ্রিডের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।</p> <p>সৌরঝড়ের কারণে উচ্চ কম্পাঙ্কের রেডিও সিগন্যাল বিঘ্নিত হতে পারে। বিশেষ করে সমুদ্র ও বিমান যোগাযোগে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে এর ফলে। </p> <p>এই ঝড়ের প্রভাবে স্যাটেলাইট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে জিপিএস সিস্টেম ও আমাদের দৈনন্দিন জিপিএস নেভিগেশনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।</p> <p>জিওম্যাগনেটিক ঝড়ের শক্তি বৈদ্যুতিক গ্রিডগুলিতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ হতে পারে।<br /> সৌরঝড়ের ফলে সৃষ্টি হওয়া সৌর কণাগুলি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে এবং উত্তর বা দক্ষিণ মেরুতে অত্যন্ত সুন্দর অরোরা সৃষ্টি করে। এই সৌন্দর্য মেরু অঞ্চল ছাড়িয়ে দক্ষিণ বা মধ্য অক্ষাংশেও দেখা যেতে পারে।</p> <p>সূত্র : লাইভ সায়েন্স</p>