<p>অক্টোবর মাস এলেই শুরু হয় নোবেল পুরস্কার নিয়ে ফিসফিসানি। সাহিত্য, অর্থনীতি ও শান্তির বাইরে বাকি তিনটি নোবেল পুরস্কার ওঠে বিজ্ঞানীদের হাতে। চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে বিশেষ অবদান রাখা বিজ্ঞানীদের হাতে এই অক্টোবরেই তুলে দেওয়া হয় পৃথিবীর সবচেয়ে অভিজাত পুরস্কারটি। ৭ অক্টোবর চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মাধ্যমে ২০২৪ সালের নোবেল উৎসব শুরু হবে। আগামী ৮ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জয়ীদের নাম। চলতি বছর কারা পেতে যাচ্ছেন নোবেল পুরস্কার? বিজ্ঞানবিষয়ক বেশ কিছু ওয়েবসাইটের সূত্র ধরে সম্ভাব্য নোবেলজয়ীদের নাম ও কাজ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নোবেলের রক্ষিতা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2023/10/04/1696420483-3b82b6e2e9f62bcaac7bb7dfe0be9c18.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নোবেলের রক্ষিতা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2023/10/04/1323847" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>পিটার শোর এবং ডেভিড ডয়েচ</strong><br /> এ বছরের নোবেল পুরস্কারের অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটির গবেষক পিটার শোর এবং যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডেভিড ডয়েচের নাম। তারা কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের ভিত্তি ও কোয়ান্টাম অ্যালগরিদম তৈরি করেছেন। তাদের এই কাজ ভবিষ্যতে কম্পিউটিংয়ের জগতে বিপ্লব আনতে পারে। পিটার শোরের ‘শোর অ্যালগরিদম’ কোয়ান্টাম কম্পিউটারের মাধ্যমে সংখ্যা ফ্যাক্টরাইজেশনে সহায়ক। এই প্রক্রিয়া বর্তমান এনক্রিপশন সিস্টেমগুলোর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের ধারণাগত ভিত্তি ও কোয়ান্টাম প্যারালালিজম নিয়ে  ডেভিড ডয়েচের  কাজ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আলফ্রেড নোবেল কেন মৃত্যুর দূত?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2023/10/02/1696250166-fa7571e495f22c0298f8e984c3329de4.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আলফ্রেড নোবেল কেন মৃত্যুর দূত?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2023/10/02/1323194" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>পাবলো জারিলো-হেরেরো, অ্যালান ম্যাকডোনাল্ড এবং রাফি বিস্ট্রিজার</strong><br /> গ্রাফিনের ম্যাজিক অ্যাঙ্গেল নিয়ে কাজ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটির গবেষক পাবলো জারিলো-হেরেরো, ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের অ্যালান ম্যাকডোনাল্ড এবং ইসরায়েলি গবেষক রাফি বিস্ট্রিজার। তাদের এই গবেষণাটি কনডেন্সড ম্যাটার পদার্থবিজ্ঞানে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। তারা এমন একটি টুইস্টেড লেয়ার গ্রাফিন তৈরি করেছেন, যার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট কোণ বা অ্যাঙ্গেল তৈরি করা যায়। ফলে নতুন ধরনের সুপারকন্ডাকটিভিটি এবং ইলেকট্রনিক বৈশিষ্ট্য তৈরি সম্ভব এর সাহায্যে। এই গবেষণা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অনেক সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে পারে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পদার্থবিজ্ঞানে শিরোপাজয়ী সময় মাপার কারিগররা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2023/10/04/1696365101-e7de6203ad9e2941ae960319d8d23987.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পদার্থবিজ্ঞানে শিরোপাজয়ী সময় মাপার কারিগররা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2023/10/04/1323735" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>জন পেনড্রি এবং ফেদেরিকো ক্যাপাসো</strong><br /> মেটাম্যাটেরিয়ালস নিয়ে কাজ করে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন যুক্তরাজ্যের ইম্পেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক জন পেনড্রি এবং যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফেদেরিকো ক্যাপাসো। তারা এক ধরনের কৃত্রিম উপকরণ তৈরি করেছেন। সেই পদার্থের প্রকৃতির সাধারণ পদার্থের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। যেমন কিছু পদার্থ আলোর বিচ্ছুরণ এবং প্রতিফলনকে অসাধারণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এ ছাড়া ক্যাপাসোর ন্যানোফোটনিক ডিভাইসগুলো অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক এবং যোগাযোগব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। সুতরাং পেনড্রি ও ক্যাপাসো এ বছর নোবেল পুরস্কারের অন্যতম দাবিদার।</p> <p><strong>লেন হাউ</strong><br /> ডেনিশ-মার্কিন গবেষকও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লেন হাউ চলতি বছরের নোবেল দৌড়ে এগিয়ে আছেন? তার গবেষণার মূল বিষয় হলো স্লো লাইট। অর্থাৎ তিনি আলোর গতি ধীর করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। আলোর গতি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা অপটিকস এবং কোয়ান্টাম ইনফরমেশন প্রসেসিংয়ের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে পারে। তার এই গবেষণা পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে।</p> <p><strong>মার্টিন রিস</strong><br /> ভাবতে অবাক লাগে ব্রিটিশ কসমোলজিস্ট মার্টিন রিস এখনো নোবেল পুরস্কার পাননি! অথচ মহাবিশ্বের উৎপত্তি, সম্প্রসারণ এবং ব্ল্যাক হোলের বৈশিষ্ট্য নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন তিনি। চলতি বছরের নোবেল দৌড়ে তার নামও উচ্চারিত হচ্ছে।<br /> শেষমেশ উল্লিখিত বিজ্ঞানীদের হাতেই ২০০৪ সালের নোবেল পুরস্কার উঠবে, এ কথা নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই। তবে নোবেল পুরস্কারের দৌড়ে যে তারা ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।</p> <p>সূত্র : ফিজিকস টুডে, লাইভ সায়েন্স</p>