<p>আলো তরঙ্গ হলেও কণার মতো আচরণ করতে পারে। এমনটাই দেখিয়েছিলেন আইনস্টাইন। ডি ব্রগলি চিন্তা করলেন, তবে কি কণাও তরঙ্গের মতো আচরণ করতে পারে? সালটা ছিল ১৯২২ । ডি ব্রগলি বস্তুতরঙ্গ বা ম্যাটার ওয়েভ প্রমাণ করতে কিছু সূত্র তুলে ধরেন। কণা হিসেবে ধরেন ইলেকট্রনকে। তিনি বলেন, ইলেকট্রন তরঙ্গ হয়ে থাকলে এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য থাকবে, থাকবে কম্পাঙ্কও। তাছাড়া তরঙ্গের অপবর্তন ও ব্যতিচার ধর্মও থাকে। যা ‘কণা’ ইলেকট্রনের থাকার কথা না। তিনি অঙ্ক কষে ইলেকট্রনের তরঙ্গধর্মের গাণিতিক একটা কাঠামো দাঁড় করালেন। কিন্তু পরীক্ষামূলক প্রমাণও তো দরকার। যদি সেটা করা যায়, তবেই ইলেকট্রনের তরঙ্গধর্ম প্রমাণিত হবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="তরঙ্গ-কণা দ্বৈত ধর্ম" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/01/1727766756-61b57f71f70bbd20e25f54ab53e6f07c.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>তরঙ্গ-কণা দ্বৈত ধর্ম</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/01/1430732" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষামূলক পদার্থবিজ্ঞানে দক্ষ ছিলেন না ডি ব্রগলি। তিনি বড় বড় এক্সপেরিমেন্টাল বিজ্ঞানীদের অনুরোধ করলেন পরীক্ষাটি করার জন্য। ১৯২৭ সালে কাজটি করে ফেলেন ক্লিনটন ডেভিসন এবং সহকর্মী লেস্টার গারমার। যুক্তরাষ্ট্রের বেল ল্যাবে বসে পরীক্ষামূলকভাবে ইলেকট্রনের অপবর্তন প্রমাণ করেন তাঁরা। সাধারণ ক্রিস্টালের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন প্রবাহিত করেছিলেন দুই বিজ্ঞানী। ক্রিস্টালের ছিদ্রগুলো এক্ষেত্রে সূক্ষ্ম ছিদ্রের মতো কাজ করে। যা আলোর দুই ছিদ্র (দ্বি-চিড়) পরীক্ষার মতো ফল দেয়। অন্যদিকে জর্জ পেজেট থমসন ডি ব্রগলির তত্ত্বে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এবং একক উদ্যোগে নিজেই পরীক্ষাটি করেন। দুটো পরীক্ষার ফলই ডি ব্রগলির তত্ত্বকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে। প্রমাণ হয় ইলেকট্রনের তরঙ্গধর্ম। অর্থাৎ ম্যাটার ওয়েভ।</p> <figure class="image"><img alt="ইলেকট্রনের অপবর্তন পট্টি। এখানে ইলেকট্রন প্রচলিত কণার মতো নয়, তরঙ্গের মতো আচরণ করছে।" height="759" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/online/2024/10/04/my1182/12.jpg" width="600" /> <figcaption>ইলেকট্রনের অপবর্তন পট্টি। এখানে ইলেকট্রন প্রচলিত কণার মতো নয়, তরঙ্গের মতো আচরণ করছে।</figcaption> </figure> <p>পরবর্তীতে কোয়ান্টাম ডবল স্লিট পরীক্ষায় ইলেকট্রনের ব্যতিচার ধর্মটিও দেখা যায়। ডি ব্রগলির ধারণা আরও মজবুত হয়। এরপর আরও বড় বড় অণুর ক্ষেত্রেও অপবর্তন ও ব্যতিচার লক্ষ্য করা গেছে।</p> <p>ডি ব্রগলি প্রমাণ করতে সক্ষম হন— তরঙ্গ যেমন কণার মতো আচরণ করতে পারে, তেমনি সকল কণাও তরঙ্গের মতো আচরণ করতে পারে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ইলেকট্রনের অদ্ভুত লাফ : শেষ পর্ব" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/02/1727863192-b228070f579c2b28304c5f41ec5a34ae.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ইলেকট্রনের অদ্ভুত লাফ : শেষ পর্ব</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/02/1431072" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কণা তরঙ্গের মতো আচরণ করলে, এর তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে ডি ব্রগলি তরঙ্গদৈর্ঘ্য বলা হয়। যার মান কণাটির ভরবেগের ব্যস্তানুপাতিক। পরমাণু, অণু থেকে শুরু করে বড় বড় বস্তুতেও হিসেব একই। অর্থাৎ বস্তু যত বড়, তরঙ্গদৈর্ঘ্য তত কম। মানুষের ভর একটা কণার তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায়, মানুষের ডি ব্রগলি তরঙ্গদৈর্ঘ্য এতই ছোট যে তা সচরাচর মাপা যায় না।</p> <p><strong>সম্পর্কিত তত্ত্ব</strong><br /> আইনস্টাইনের আলোক-তড়িৎক্রিয়া<br /> তরঙ্গ-কণা দ্বৈততা<br /> কোয়ান্টাম ডবল স্লিট</p> <p><strong>বিজ্ঞানী</strong><br /> <strong>ক্লিনটন ডেভিসন</strong><br /> ১৮৮১-১৯৫৮<br /> মার্কিন পদার্থবিদ, নিকেলের ক্রিস্টাল ব্যবহার করে ইলেকট্রনের অপবর্তন লক্ষ্য করেন।<br /> <strong>জর্জ পেজেট থমসন</strong><br /> ১৮৯২-১৯৭৫<br /> ইংরেজ পদার্থবিদ, পাতলা ধাতব পাত ব্যবহার করে ইলেকট্রনের অপবর্তন লক্ষ্য করেন, জে জে থমসনের পুত্র।</p> <p><strong>বর্ণনা</strong><br /> লিওন ক্লিফর্ড</p> <p><br /> <br />  </p>