<p>গত জুলাই-আগস্টের বৈষমষ্যবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে প্রায় ২২০০ জন কারাবন্দি পালিয়েছিল। এরমধ্যে পরবর্তীতে ১৫০০ জন কারাবন্দিকে গ্রেপ্তার করে করতে পেরেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ৭০০ জন আসামি এখনো অধরা। পলাতকদের মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ দণ্ডপ্রাপ্ত শীর্ষ ৭০ আসামি রয়েছে।</p> <p>আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) পুরান ঢাকায় কারাসদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান কারা মহাপরিদর্শক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. সৈয়দ মোতাহের হোসেন।</p> <p>বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. সৈয়দ মোতাহের হোসেন বলেন, ‘দেশের মোট ৬৯ কারাগারের মধ্যে ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে, যা সরকার অবগত আছে এবং এ নিয়ে সরকার কাজ করছে। এ ছাড়া ৫ আগস্টের পর ১১ শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ১৭৪ জঙ্গির জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘গত ৩ মাসে কারাগারসমূহে অধিকতর স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা আনায়নের লক্ষ্যে বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে কারা অভ্যন্তরের সব ধরনের তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া অবৈধ দ্রব্যাদির প্রবেশ রোধকল্পে প্রবেশপথে বডিস্ক্যানারসহ অন্যান্য আধুনিক সরঞ্জামাদি স্থাপন করা হয়েছে।’</p> <p>কারা অভ্যন্তরে মাদক দ্রব্যের প্রবেশ রোধকল্পে ঝুঁকিপূর্ণ কারাগারসমূহে ডগ স্কোয়াড মোতায়েন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যদিকে সৎ এবং যোগ্যতা সম্পন্ন অফিসার এবং কারারক্ষীদের তাদের পেশাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে কারা সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন কারাগারসমূহে পদায়ন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সবসময় বন্দীদের সঙ্গে মানবিক আচরণ নিশ্চিতের জন্য বেশ কয়েকটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বন্দীদের প্রাপ্যতা অনুযায়ী খাবারসহ প্রয়োজনীয় সরাঞ্জামাদির সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য কঠোর তদারকি অব্যাহত রয়েছে। বন্দীদের দেখা সাক্ষাৎ, টেলিফোনে কথোপকথন, চিকিৎসা সেবা যথাযথভাবে নিশ্চিতের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারিসহতা বাস্তবায়নে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।’</p> <p>বন্দী ব্যবস্থাপনা অধিকতর স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে কারাগার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সফটওয়্যারসহ, আর এফ আইডি এবং জিপিএস ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, ‘এ ছাড়া সেবা প্রত্যাশীদের সহায়তার জন্য ২৪ ঘণ্টা হটলাইন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নানা মহলের দাবির প্রেক্ষিতে কারা অধিদপ্তরের লোগো পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত লোগো যেন কারা অধিদপ্তরের কর্মকাণ্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখা হবে। বন্দী ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতাল স্থাপনসহ বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ কারাগার পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া জ্যামার, বডিক্যামসহ আধুনিক সরঞ্জামাদি ক্রয়ের উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে।’</p>