<p>জাতিসংঘের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের’ (সত্যানুসন্ধানী মিশন) প্রাথমিক দল আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসছে। দলটি আগামী বুধবার পর্যন্ত ঢাকায় থাকবে। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গতকাল বুধবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।</p> <p>পররাষ্ট্রসচিব বলেন, জাতিসংঘের সত্যানুসন্ধানী মিশনের প্রাথমিক দলটি সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গেও তাদের দেখা করার কথা রয়েছে।</p> <p>জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টার্ক গত ১৬ আগস্ট এক বিবৃতিতে এ সপ্তাহেই জাতিসংঘের দলটির ঢাকা সফরের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারকে কোন কোন খাতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর সহযোগিতা করবে সেই খাতগুলো চিহ্নিত করা এ সফরের লক্ষ্য। এ ছাড়া বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ের সহিংসতা ও অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো তদন্তের পদ্ধতিগুলো নিয়েও তারা আলোচনা করবে।</p> <p>অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনালাপেও এ বিষয়ে আলোচনা করেন ভলকার টার্ক।</p> <p>এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে নিউ ইয়র্কে ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ব্যাপক সহিংসতা, প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনায় জড়িতদের বিচার চায় জাতিসংঘ। একই সঙ্গে মানবিক ও রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহির মুখোমুখি করা দরকার বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।</p> <p>স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘আমরা এই বিশেষ সংকটের শুরু থেকেই জবাবদিহির কথা বলে আসছি। সহিংসতা, প্রাণহানি এবং মানবিক ও রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহির দরকার রয়েছে।’</p> <p>অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের দেওয়া একটি চিঠির বিষয়েও কথা বলেন স্টিফেন ডুজারিক। তিনি বলেন, ‘আমি মহাসচিবের পাঠানো একটি চিঠি সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন পেয়েছি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি অভিনন্দনপত্র লিখেছেন গুতেরেস। চিঠিতে মহাসচিব বাংলাদেশে শান্তি ফেরানো এবং সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন।’</p> <p>জাতিসংঘের প্রত্যাশা, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পন্থা গ্রহণ করবে, যার মধ্যে তরুণদের পাশাপাশি নারী, সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের কণ্ঠস্বরও বিবেচনা করা হবে।</p> <p>এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গতকাল পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, জাতিসংঘের অধিবেশনে অংশ নিতে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারেন। জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন হওয়ার কথা রয়েছে।</p>