<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাটখড়ি থেকে উৎপাদিত পণ্য চারকোলের ব্যাপক চাহিদা বিশ্ববাজারে। এই রপ্তানি পণ্য থেকে বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা আয় হয়। তবে সম্ভাবনাময় এই রপ্তানি পণ্যের গলা চেপে ধরেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। নিজের ছোট ভাই মির্জা জিল্লুর রহমান শিপনের মাধ্যমে চারকোল রপ্তানির সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন তিনি। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে চারকোল রপ্তানি প্রক্রিয়া। আগামী তিন-চার মাস বিশ্ববাজারে চারকোল রপ্তানির ভরা মৌসুম। এ সময়ে মির্জা আজমের একক সিন্ডিকেটের কারণে রপ্তানি নিয়ে শঙ্কায় আছেন ব্যবসায়ীরা। এতে কয়েক হাজার কোটি টাকার রপ্তানি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন রপ্তানিকারকরা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এফবিসিসিআই, ডিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ প্রায় সব বাণিজ্য সংগঠন থেকে আওয়ামী লীগ পন্থীরা সরে গেলেও চারকোল রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনে (বিসিসিএমইএ) এখনো আগের সরকারের সিন্ডিকেটই বহাল রয়েছে। চারকোল রপ্তানিতে নিয়োজিত ট্রেডবডি বাংলাদেশ চারকোল উৎপাদনকারী ও রপ্তারিকারক সমিতির (বিসিসিএমইএ) সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন মির্জা আজমের ছোট ভাই মির্জা শিপন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্যবসায়ীরা এই খাতকে বৈষম্যমুক্ত করতে এবং রপ্তানি আয় বাড়াতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। স্মারকলিপিতে তাঁরা বলেন, সারা দেশে মির্জা শিপনের নিজস্ব লোকদের দিয়ে একচেটিয়া ফ্যাক্টরি ও বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। চীনা ফ্যাক্টরির মালিক ও ক্রেতাদের বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সব আয়োজন সম্পন্ন করে নিজের পছন্দের ব্যবসায়ীদের দিয়ে সেসব ফ্যাক্টরির মালিকানায় বসিয়েছেন তাঁরা। পুরনো ও অভিজ্ঞ ক্রেতাদের পাশ কাটিয়ে বাজার সিন্ডিকেট করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ক্রেতার হাতে চারকোল তুলে দিতে অ্যাসোসিয়েশনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রপ্তানিকারক বলেন, বিশ্বে চারকোল রপ্তানির বিশাল বাজার রয়েছে। সরকার যখন রপ্তানি আয় বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে, তখন সাবেক মন্ত্রী ও তাঁর ভাইয়ের সিন্ডেকেটের বাইরে কোনো ব্যবসায়ীকে ভিড়তে দিচ্ছেন না। এ কারণে কারখানা সচল রাখা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ফরিদপুর, মাগুরা ও মাদারীপুর এলাকায় বিভিন্ন চারকোল ফ্যাক্টরির মালিকরা সিন্ডিকেটের কারণে পাটকাঠির উচ্চ দামের ফলে এখনো ঠিকঠাক উৎপাদনে যেতে পারেননি। ফ্যাক্টরি মালিকদের অভিযোগ, একটি গোষ্ঠী সিন্ডিকেট করে রাখার কারণে এই মৌসুমে পাটকাঠি কিনতে হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা দরে। অথচ গতবার ভরা মৌসুমে কাঁচামালের দর ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা। ফ্যাক্টরির মালিকদের মতে, এবার কোনোভাবেই ক্রেতা টেকানো সম্ভব হবে না। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাঁদের অভিযোগ, মাঠে কাঁচামালের জোগান থাকা সত্ত্বেও পাটকাঠি ব্যাপারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মির্জা শিপন ও তাঁর পছন্দের তিন-চারজনের একটি সিন্ডিকেট পুরো ফরিদপুর অঞ্চলের পাটকাঠি ব্যাপারীদের জিম্মি করে চারকোল উৎপাদনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চীনের একটি নির্দিষ্ট ক্রেতাকে সুবিধা দিতে মরিয়া হয়ে কাজ করছে।</span></span></span></span></span></p>