<p>এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী ক্ষমতার বহুকেন্দ্রিক বলয় সৃষ্টি না হলেও বিশ্ব যে আপাতত দুটি প্রধান শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক সময়ে ব্রিকস অর্থনীতিবিষয়ক সম্মেলন থেকে শুরু করে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলন এবং সর্বশেষ নিউ ইয়র্কে ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনকে কেন্দ্র করে ওপরে উল্লিখিত বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেছে। জাতিসংঘের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদত্ত স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভাষণ থেকে অনেক কিছুই সন্দেহের ঊর্ধ্বে চলে গেছে। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষ, যা দীর্ঘায়িত হওয়ার সুস্পষ্ট আভাস পাওয়া গেছে।</p> <p>প্রেসিডেন্ট বাইডেন তাঁর বক্তব্যে কোথাও উল্লেখ করেননি যে অবিলম্বে এ সংঘর্ষ থামাতে হবে কিংবা শান্তিপূর্ণ একটি আলোচনার মাধ্যমে এর অবসান ঘটাতে হবে। তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে এ সংঘর্ষের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করেছেন। বলেছেন, কোনো রাষ্ট্রের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কিংবা অখণ্ডতা বিনষ্ট করার অধিকার কারো নেই। যত সময়ই লাগুক না কেন আক্রমণকারীকে পরাভূত কিংবা আক্রান্ত দেশের মাটি থেকে উচ্ছেদ করতে হবে।</p> <p>গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা রক্ষার নীতিমালাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে হবে। তবে সম্মিলিতভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সংঘর্ষ কিংবা সংঘাত অব্যাহত রাখতে হলে কী হবে বিশ্বের জ্বালানি, খাদ্যশস্যসহ সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, সে ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট বাইডেন কিছুই উল্লেখ করেননি। সাধারণ অধিবেশনের বাইরে সিএনএনকে প্রদত্ত এক সাক্ষাৎকারে একই ভাষায় কথা বলেছেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে তিনিও বলেছেন চলমান ইউক্রেন সংঘর্ষে রাশিয়ার চূড়ান্ত পরাজয় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কিকে তাঁদের সার্বিক সাহায্য ও সমর্থন দিয়ে যাবেন, তা যতই সময় লাগুক না কেন।</p> <p>রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষ দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কাজাতিসংঘের উদ্বোধনী অধিবেশনে এ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে চারটি রাষ্ট্রের সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন না। রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধানরা অনুপস্থিত ছিলেন। তা ছাড়া জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানকারী ১৫১টি দেশের প্রতিনিধিদল প্রেসিডেন্ট বাইডেনের একমুখী এই ভাষণকে কিভাবে নিয়েছেন তা এখনো পরিষ্কার হয়নি। কারণ যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ন্যাটো সদস্যবহির্ভূত রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা সংগত কারণেই বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের একটি গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ সমাধান আশা করেছিলেন। এই সংঘর্ষকে একটি পরিপূর্ণ যুদ্ধের দিকে টেনে নিয়ে গেলেও রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বিরাজমান সমস্যার সমাধান হবে না।</p> <p>এর মূল কারণ হচ্ছে ক্রিমিয়া বাদেও ইউক্রেনের অভ্যন্তরে বসবাসরত চারটি প্রদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ রুশ ভাষাভাষী মানুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয়টি অমীমাংসিতই থেকে যাবে। সে কারণে দীর্ঘস্থায়ী একটি যুদ্ধে রাশিয়ার পরাজয় ঘটলেও ইউক্রেনের রুশ ভাষাভাষীদের জাতিগত বিভেদ কিংবা দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষের অবসান ঘটবে না। অবসান ঘটবে না কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী রাষ্ট্রগুলোর জাতীয় নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো। এমন একটি অবস্থায় বর্তমান রাশিয়াকে ভেঙে আরো দুর্বল করে দিলেও তাদের জাতিগত দ্বন্দ্বের বিষয়টি নিষ্প্রভ হয়ে যাবে বলে মনে করার কোনো সুযোগ নেই। রুমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনে রাশিয়ার নিকটতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইউক্রেনকে ন্যাটোভুক্ত করার প্রস্তাব থেকেই ক্রমে ক্রমে সৃষ্টি হয়েছে আজকের এই সংঘর্ষ। রাশিয়া তখন থেকেই তার স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল।</p> <p>ইউক্রেন ও জর্জিয়াকে ন্যাটোভুক্ত করার প্রস্তাবটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের। ভেঙে যাওয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে এসে ১৯৯১ সালে রাশিয়া একটি ফেডারেশন গঠন করেছিল। কিন্তু তার পর থেকে রাশিয়ায় শুরু হয়েছিল চরম অর্থকষ্ট ও শ্রমিক অসন্তোষ। রাজনৈতিক কাঠামো দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছিল এবং তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পতন ঘটছিল রাশিয়ার বাণিজ্য ও রুবলের বাজারমূল্য। সাইবেরিয়া থেকে বিভিন্ন অঞ্চলের কয়লা ও জ্বালানি ক্ষেত্রে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরি বাকি পড়তে শুরু করেছিল বছরের পর বছর। সে অবস্থায় ১৯৯১ সালে তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার সরকারপ্রধান ও কমিউনিস্ট পার্টির মহাসচিব মিখাইল গর্বাচেভ ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করেন।</p> <p>পরিবর্তীতে রাশিয়ার রাজনৈতিক ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন সংস্কারবাদী বরিস ইয়েলিসন। এর আগেই শুরু হয়েছিল গর্বাচেভের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নেতাদের রাজনৈতিক বোঝাপড়া। প্রেসিডেন্ট ইয়েলিসনের শাসনকাল ক্ষণস্থায়ী হলেও তাঁর পথ ধরে এগিয়ে এসেছিলেন তৎকালীন ইন্টেলিজেন্স বিভাগের তরুণ কর্ণধার ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রমে ক্রমে চূড়ান্তভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে ভ্লাদিমির পুতিন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারকাজে হাত দিয়েছিলেন। তিনি রাশিয়াকে অপ্রত্যাশিতভাবে অর্থনৈতিক সংকট থেকে উদ্ধার করেন, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করেন এবং সাফল্যজনকভাবে উন্নয়নকাজে হাত দেন। তখন প্রতিবেশী ইউক্রেন ও বেলারুশ রাশিয়ার সঙ্গে একটি আঞ্চলিক জোটে একাত্ম হয়ে কাজ করছিল। কিন্তু পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী জোট তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি।</p> <p>তারা রাশিয়াকে তাদের উন্নয়ন কার্যক্রম কিংবা বাণিজ্যে অংশীদার না করে বরং আরো ভেঙে দুর্বল করার মানসে ইউক্রেনকে বিচ্ছিন্ন করার কর্মসূচি হাতে নেয়। রাশিয়াকে পশ্চিমা সামরিক শক্তির একটি প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করায় পুঁজিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থে। তারই পরিণতি হচ্ছে বর্তমান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষ। এ পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলে পুতিনের নেতৃত্বে রাশিয়া এগিয়ে যেত আরো বহুদূর। কিন্তু পশ্চিমারা তা চায়নি। তারা চীনের বিস্ময়কর অগ্রগতি রোধ করতে সক্ষম না হলেও ইউরোপে রাশিয়াকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেবে না।</p> <p>গণমাধ্যমে নিয়োজিত অনেক আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষকের মতে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা রাজনীতি কিংবা কূটনীতির শিকারে পরিণত হয়ে গেছেন। জেলেনস্কি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য পদ লাভ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সামরিক সংঘর্ষ কিংবা যুদ্ধে জড়াতে নয়। তাঁকে অত্যন্ত উসকানিমূলকভাবে বর্তমান সংঘর্ষে জড়ানো হয়েছে রাশিয়াকে ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে। এই অভিযোগ গণমাধ্যমের অনেক বিশিষ্ট বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীর। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের অবসান না ঘটিয়ে বরং তা আরো দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যে জেলেনস্কির প্রতি জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণে বিশ্বনেতাদের সাহায্য চেয়েছেন। তিনি যুদ্ধবিরতি কিংবা বর্তমান রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার একটি ন্যায়সংগত সমাধানের পথ না খুঁজে বরং যত সময়ই লাগুক না কেন, রাশিয়ার চরম পরাজয়ের ডাক দিয়েছেন। আরো ভেঙে দুর্বল করে দিতে চান রাশিয়ার সামরিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি। এক চীন নীতিতে বিশ্বাসী যুক্তরাষ্ট্র এখন তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে চীনের প্রতি খড়্গহস্ত হচ্ছে ক্রমে ক্রমে। তারই ফলে বর্তমান ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা জোট গঠন করা হয়েছিল।</p> <p>এ কথা ঠিক যে থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া কিংবা ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ কিংবা দক্ষিণ-পশ্চিম চীন সাগরে বেইজিংয়ের কিছু বিরোধ রয়েছে, যা নিষ্পত্তি করা মোটেও অসম্ভব নয়। কিন্তু পশ্চিমা বলয় তাকে একটি চরম বিরোধে পরিণত করে চীনের সার্বিক অগ্রগতি ঠেকাতে বদ্ধপরিকর হয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ওয়াশিংটনের একাধিপত্য ধরে রাখতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। ধরে রাখতে চাচ্ছেন বিশ্বব্যাপী ডলারের আধিপত্য। এ সত্যটি ইউরোপের শিল্পসমৃদ্ধ ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও পোল্যান্ডের আর্থ-রাজনৈতিক মহলে এখন সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে।</p> <p>এমন একটি পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) বিপরীতে ভারতের মুম্বাই থেকে জল ও স্থলপথে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপে পৌঁছার একটি বিকল্প অর্থনৈতিক করিডর প্রতিষ্ঠার (স্পাইস রুট) ঘোষণা দিয়েছেন। এটি অনস্বীকার্য যে এই বাণিজ্য পথ এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যকে সমৃদ্ধ করবে, উন্নত করবে যোগাযোগব্যবস্থা। কিন্তু এখানে বিতর্ক দেখা দিয়েছে তুরস্ককে কেন্দ্র করে। কারণ এশিয়া ও ইউরোপের অন্যতম প্রধান সংযোগস্থল তুরস্কের ইস্তাম্বুলকে বাদ দেওয়া হয়েছে এই পরিকল্পনা থেকে। এই প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় সৌদি আরব ও আমিরাত থেকে তুরস্ককে পাশ কাটিয়ে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করার চেষ্টা হচ্ছে গ্রিসের সঙ্গে। এতে তুরস্ক, বুলগেরিয়া ও রুমানিয়া সেই প্রস্তাবিত করিডরের বাইরে থাকবে। শুধু তুরস্ক নয়, সৌদি আরব ও আমিরাত আগে থেকেই চীনের বিআরআই বাণিজ্য পথের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তা ছাড়া তুরস্কের সঙ্গে রয়েছে সৌদি আরব, আমিরাত এবং ইসরায়েলের রয়েছে নির্ধারিত বাণিজ্য পথ। ইরান, ইরাক ও জর্দানের সঙ্গেও রয়েছে তুরস্কের প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যব্যবস্থা কিংবা অর্থনৈতিক সুদূরপ্রসারী কার্যক্রম। ভারতের সঙ্গে তুরস্কের বিভিন্ন রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতে পারে, যার সমাধান মোটেও অসম্ভব নয়। তা ছাড়া তুরস্কের সঙ্গে সৌদি আরব, আমিরাত ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য রাষ্ট্রের (ইরাক ও সিরিয়া) রয়েছে বিভিন্ন প্রতিরক্ষা চুক্তি ও বাণিজ্য।</p> <p>এ অবস্থায় ভারতের প্রস্তাবিত বাণিজ্য করিডর কতটুকু এগোতে পারবে? তা ছাড়া ভারত শেষ পর্যন্ত ব্রিকস অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে কি না সেটা নিয়েও এখন নানা প্রশ্ন উঠেছে। এ অবস্থায় প্রকৃত গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও মুক্ত বাণিজ্যের নীতিতে বিশ্ববাসী নতুন করে তাত্ত্বিক, আদর্শিক ও প্রগতিগতভাবে চিন্তা-চেতনার ক্ষেত্রে এক নতুন সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। এবং বিশ্বমানবতার অগ্রগতি কিংবা সমৃদ্ধি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বৃহত্তর স্বার্থেই এ পরিস্থিতি কিংবা প্রকৃত সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত বলে বিশ্বের ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মনে করে। কারণ করোনা অতিমারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের আলোকে বিশ্ব এই মুহূর্তে আর কোনো নতুন সংকটের জন্য মোটেও প্রস্তুত নয়। তাতে ধ্বংসের মুখোমুখি হবে সবাই।</p> <p>লেখক : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক</p>