<p>বরগুনার আমতলীতে বিয়ের আট মাসের মাথায় স্বামী মনিরুল ইসলামের লাঠির আঘাতে স্ত্রী তিন্নির (২০) মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমে আসক্তি নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে তিন্নিকে পিটিয়ে হত্যা করে স্বামী। নিহত তিন্নি উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চন্দ্রা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে।</p> <p>ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামে। অভিযুক্ত স্বামী মনিরুল ইসলাম ওই গ্রামের হারুন খাঁর ছেলে এবং পেশায় সে একজন অটোরিকশা চালক।</p> <p>অভিযুক্তের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত আট মাস আগে পারিবারিকভাবে মনিরুল ও তিন্নির বিয়ে হয়। বেশ কিছুদিন ধরে নিহত স্ত্রী তিন্নি পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। ওই বিষয় নিয়ে তাদের পরিবারের মধ্যে অশান্তি দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে গত ৪/৫ দিন আগে পারিবারিকভাবে বৈঠকও হয়। ওই বৈঠকে আর এমন ঘটনা হবে না বলে স্ত্রী তিন্নি স্বীকার করলেও মঙ্গলবার ওই পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে তিন্নি। সন্ধ্যায় ওই বিষয় নিয়ে স্বামী মনিরুলের সঙ্গে স্ত্রীর বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে স্ত্রী তিন্নির মাথায় স্বামী মনিরুল লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এরপর আহত অবস্থায় স্ত্রী তিন্নিকে মনিরুল ও তার মা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।</p> <p>চিকিৎসকের কাছ থেকে স্ত্রী তিন্নির মৃত্যুর খবর শুনতে পেয়ে স্বামী মনিরুল হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে ঘাতক স্বামী মনিরুলকে আটক করে ও নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।</p> <p>স্বামী মনিরুলের চাচাত ভাই নূরে আলম জানান, স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমে আসক্তি নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে স্বামী মনিরুল তার স্ত্রী তিন্নিকে পিটিয়ে হত্যা করে।</p> <p>আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে অভিযুক্ত স্বামী মনিরুলকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। </p>