<p>লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নারী ও বৃদ্ধাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পুলিশের শাস্তির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।</p> <p>মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার বড়খাতা এলাকায় লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা।</p> <p>এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা এলাকায় এই মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে।</p> <p>জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে রহিমুদ্দির সঙ্গে মিজানুর গংদের। এরই জের ধরে মঙ্গলবার বিকেলে সেই জমি নিয়ে আবারও দুই পক্ষের মারামারি বাধে। এ সময় উভয় পক্ষের ৪ জন গুরুতর আহত হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি ও পুলিশ ইবনে দাইদ বাপ্পি মিজানুরদের পক্ষ নিয়ে নবীনা বেগম ও তার মা মোমেনাকে মারধর করেন। </p> <p>পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, সন্ধ্যার পরে পুলিশ আবারও গুরুতর আহত নবীনা বেগমের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসে। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় শত শত নারী-পুরুষ লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে খবর পয়ে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে।</p> <p>মানববন্ধনে অংশে নেওয়া নারী ও পুরুষরা জানান, পুলিশ নারী ও বৃদ্ধাকে মারধর করে আবার উল্টো তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। আমরা মহাসড়ক অবরোধ করেছি। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে তাই বাসায় ফিরে যাচ্ছি।</p> <p>এ বিষয়ে আহত নবীনা বেগমের মা মোমেনা বেগম বলেন, প্রথমে ওই পক্ষের লোকজন আমাদেরকে মারধর করে। পরে পুলিশ এসে তাদের পক্ষ নিয়ে আবার আমাদেরকে মারধর করে। আমার মেয়ে এখনো অজ্ঞান হয়ে আছে।</p> <p>এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন নবী বলেন, আমরা কাউকে কোনো মারধর করিনি। আমরা অন্য একটা মামলার তদন্তে যাচ্ছিলাম সে সময় একটি মারামারির ঘটনা চোখে পড়ে। তাদেরকে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে পারামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাতে মানববন্ধন হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম তাদরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। </p>