<p>যশোরের কেশবপুরে জমির মালিকানা দাবি করে সেখানে স্থাপিত উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ওই জমির প্রকৃত মালিক দাবি করে মরহুম আব্দুল হামিদ খানের ওয়ারিশগণ কার্যালয়টি ভেঙে ফেলছেন। এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ক্রয়সূত্রে ওই জমি তাদের। জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তবে এসব উপেক্ষা করেই কার্যালয়ের দ্বিতল ভবনটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে।</p> <p>জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি পৌর শহরের পাঁজিয়া সড়কের উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের পাশে অবস্থিত। চার শতক জমিতে ২০১১ সালে দোতলা ভবন নির্মাণ করে দলটি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এর পাশেই পরবর্তীতে স্থাপন করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল। যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, সাবেক হুইপ শেখ আব্দুল ওহাব, সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এখান থেকে দলের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতেন। তবে ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভবনের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়।</p> <p>সরেজমিনে মঙ্গলবার দেখা যায়, দ্বিতল এ ভবনটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ভবনের সামনে ‘দেওয়ানী ৮১/১১ নং মোকদ্দমায় বিজ্ঞ সহকারী জর্জ কেশবপুর, যশোর আদালতের বিগত ইংরেজি ২১/০৮/২০১৬ তারিখের রায় ও ২৮/০৮/২০১৬ তারিখের ডিক্রি মূলে মরহুম আব্দুল হামিদ খানের ওয়ারিশ গং এই জমির মালিক’-লেখা সংবলিত একটি ব্যানার টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরেকটি ব্যানারে ‘এই জমির প্রকৃত মালিক মরহুম আব্দুল হামিদ খান এর ওয়ারিশগণ- মরহুম সামসুদ্দোহা খান এর ওয়ারিশগণ, শামসুল আরেফিন খান, শামসুল হুদা খান, শামসুল হক খান, নূরুজ্জামান খান, মরহুম হাসিনা বানুর ওয়ারিশগণ, সাকিনা বানু, রশিদা বানু, খালেদা বানুর নাম রয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আওয়ামী লীগ নেতাকে পিতা দাবি করে নারীর মামলা" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/02/1733135919-5578fd9a3f2e9272c6a41f0e3a254f6e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আওয়ামী লীগ নেতাকে পিতা দাবি করে নারীর মামলা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/02/1453045" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মরহুম আব্দুল হামিদ খানের ছেলে শামসুল আরেফিন খান ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন। তিনি বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী।</p> <p>কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা বলেন, ২০১০ সালে আকরাম হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা দিয়ে চার শতক জমি কেনা হয়। পরে ওই স্থানে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে দলীয় কার্যালয় তৈরি করা হয়। এরপর ভবনের জায়গা নিয়ে মরহুম আব্দুল হামিদ খানের ওয়ারিশগণ আদালতে মামলা করেন। এ মামলার বিরুদ্ধে তারা আপিল করেছেন। ৫ আগস্টের পর ওই ব্যক্তিরা দলীয় কার্যালয়টির চারপাশ কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখে। জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় কার্যালয়ের ভবনটি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখন গণশৌচাগার!" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/23/1732373473-34acfd68ee317001f49d75e87d18a37c.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখন গণশৌচাগার!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/dhaka/2024/11/23/1449823" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মরহুম আব্দুল হামিদ খানের ছেলে নূরুজ্জামান খান বলেন, ‘ওই জমিটি আমার বাবার। আমরা প্রকৃত মালিক। যে কারণে জমির মালিকেরাই ভবনটি ভেঙে ফেলছে।’</p>