<p>চট্টগ্রামের রাউজানের পশ্চিম বিনাজুরী গ্রামে মাছ ধরার জাল নিয়ে বিরোধের জের ধরে একজনকে খুনের পর লাশ গুম করার মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। পরে তাদের সাজামূলে কারাগারে পাঠানো হয়। </p> <p>মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দেউলিয়া বিষয়ক আদালত) মো. জাহাঙ্গীর আলম এ রায় দিয়েছেন।</p> <p>দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন উজ্জ্বল জলদাস ও সজল জলদাস। তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বিনাজুরী ইউনিয়নের পশ্চিম বিনাজুরী গ্রামে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আলু-পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল ভারত" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/26/1732611819-652342394fe14027975ea1cf9a4bcdb0.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আলু-পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল ভারত</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/26/1450811" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৭ জুলাই রাতে পশ্চিম বিনাজুরী গ্রামের জেলেপাড়ার বাসিন্দা অসীম জলদাস মশার কয়েল কেনার জন্য দোকানের উদ্দেশে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন তার লাশ পশ্চিম বিনাজুরী স্লুইস গেট কার্যালয়ের পেছনে সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়। অসীমকে গলায় ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যার পর লাশ গুম করে রাখার অভিযোগে তার স্ত্রী সাবিত্রী জলদাস রাউজান থানায় মামলা করেন।</p> <p>প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ পেয়ে পুলিশ উজ্জ্বল জলদাস ও সজল জলদাসকে গ্রেপ্তার করে। উভয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়ার পর আদালত আসামিদের প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। একই রায়ে আদালত তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেছেন।</p> <p>চট্টগ্রাম জেলা আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি) অ্যাডভোকেট সরোয়ার হোসাইন লাবলু বলেন, আসামিরা পরস্পর মামাতো-ফুপাতো ভাই। আসামি উজ্জ্বলের বাবার সঙ্গে মাছ ধরার বড় জাল নিয়ে ভিকটিম অসীমের বিরোধ হয়েছিল। সেটার প্রতিশোধ নিতে অসীমকে অতিরিক্ত মদ খাইয়ে খুন করা হয়। অপরাধ আড়াল করতে লাশ গুমের চেষ্টা করেন তারা। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এ জন্য আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।</p>