<p>দিনে শীতল হাওয়া রাতের শিশিরবিন্দুতে ভেজা ঘাস জানান দিচ্ছে শীতের আগনী বার্তা। এমন শীতের শুরুতেই দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন লেপ-তোশক তৈরির কারিগররা ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। ঋতু বৈচিত্রে রাতে হালকা কুয়াশা আর দিনে হাল্কা গরম থাকলেও রাতে ঠাণ্ডার প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। ঠাণ্ডা নিবারণে এ এলাকার মানুষ ঠাণ্ডা নিবরনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। দোকানগুলোতে শরু হয়েছে এসব কাজের ভিড়। </p> <p>চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ এই অঞ্চলে গরমের সময় যেমন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রের্কড হয়ে থাকে তেমনি শীতকালে তুলনামুলকভাবে শীতের প্রকোপ বেশি থাকে। কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে এবার মানুষ ঠাণ্ডা নিবারণের জন্য শীতের শুরুতেই লেপ-তোশক বানাতে শুরু করেছে। আর এ সুযোগে পসরা সাজিয়ে বসে বিক্রি করছে পুরাতন কাপড়ের দোকানিরা।</p> <p>রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার লেপ-তোশক তৈরির দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায় দেকানদার যেমন বেচা-বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত ঠিক তেমনি এসব তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।<br />  <br /> দামুড়হুদা উপজেলা সদরের আমাদের শীত বস্ত্রালয়ের কারিগর রকি উদ্দীন বলেন, ‘সবে মাত্র শীত শুরু হয়েছে। এবার এখন থেকে মানুষ আগাম লেপ-তোশক তৈরি শুরু করেছে। শরুতেই প্রতিদিন ৪-৫টি করে ওর্ডার পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো দিনে দিনে তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিনই ওর্ডারের পরিমাণ বাড়ছে। প্রতিদিন তারা ছোট বড় মিলে ৭ থেকে ৮টি  লেপ-তোশক বানাতে পারে। মজুরি হিসেবে পারিশ্রমিক পান ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। তবে লেপ-তোশকের সাইজ অনুসারে প্রতিদিন ১হাজার ২০০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা পযর্ন্ত রোজগার হয়। এখন প্রতিদিন কাজ বাড়ছে এখন আর দিনে দিনে দেওয়া সম্ভব হবে না। কার্পাশ তুলা দাম বেশি হওয়ায় অনেকে গার্মেন্টসের তুলা দিয়ে লেপ তৈরি করে থাকেন। বাজারে কম্বলের তুলনায় লেপের দাম কম থাকায় চাহিদাও বেশি থাকে। এ সময় অনেক কারিগর ও ব্যবসায়ী শীত আসার আগেই পর্যাপ্ত পরিমাণে লেপ-তোশক তৈরি করে মজুদ রাখেন।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="‘আমার বাবা অবশ্যই পাগল, তাই তিনি একজন অসাধারণ মানুষ ‘বাবা প্রসঙ্গে নিষাদ হুমায়ূন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/17/1731836327-d124afe3a0372727869ae5f787166006.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>‘আমার বাবা অবশ্যই পাগল, তাই তিনি একজন অসাধারণ মানুষ ‘বাবা প্রসঙ্গে নিষাদ হুমায়ূন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2024/11/17/1447628" target="_blank"> </a></div> </div> <p>শীত বস্ত্রালয়ের মালিক লিটন মিয়া বলেন, ‘সবেমাত্র শীতশুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে, আমার দোকানে একজন কারিগর ও আমার বাবা দুজনে মিলে কাজ শুরু করেছে। এখন ৪-৫টি করে হলে ও খুব দ্রুত কাজ বেড়ে যাবে। তখন প্রতিদিন ১৮-২০টি করে লেপ তোশকের অর্ডার পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কাপড় ও তুলার দাম বেশি। যেমন শিমুল তুলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা প্রতি কেজি, সাদা গার্মেন্টস তুলা ৫০থেকে ৬০ টাকা, প্রতি কেজি রঙিন কালো, হলুদ লাল, লীল রংয়ের গার্মেন্টস তুলা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। কার্পাস তুলা ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা প্রতি কেজি, ফোম তুলা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় কেজি বিক্র করা হচ্ছে। আবার কাপড়ের গজ বিভিন্ন কাপড়ের মান অনুসারে প্রতি গজ ৩০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করা হচ্ছে। তবে শীতের মৌসুমে শুধু আমাদের ব্যবসা হয়। এছাড়াও সারা বছর কাজের পরিমাণ খুবই কম হয়।</p>