<p>আগেই বলেছি পরমাণু লেভেলে বোস-আইন্স্টাইন কন্ডেনসেট অবস্থা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে আজ থেকে প্রায় তিন দশক আগে। কিন্তু আণবিক বোস-আইনস্টাইন তৈরির ঘটনা এবারই প্রথম। কিন্তু এর শুরুটা হয়েছিল আরও আগে, ২০০৮ সালে।<br /> এর আগে পোলার অণু ব্যবহার করে আণবিক বোস-আইনস্টাইন কন্ডেনসেট তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। তেমনি রিডবার্গ অণু ব্যবহার করেও একই চেষ্টা করেছেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আণবিক বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেটের সন্ধানে : পর্ব ১" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/16/1731757062-a55c702e695630f5ec3a40d1266280bd.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আণবিক বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেটের সন্ধানে : পর্ব ১</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/16/1447285" target="_blank"> </a></div> </div> <p><br /> অর্থাৎ এই দুই ধরনের অণু ব্যবহার করে অতি শীতল অবস্থায় এদের মধ্যো চৌম্বকীয় প্রভাব কেমন দেখার চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই দুই ধরনের প্রক্রিয়াতে সমস্যা রয়েছে। </p> <p>পোলার ও রিডবার্গ অণুর কথা যখন চলেই এলো, তখন আমদের এদের সঙ্গে সামান্য ধারণা রাখা দরকার। পোলার পরামাণুতে দুটি পোল বা প্রান্ত থাকে। একটি প্রান্ত ধনাত্মক ও আরেকটি প্রান্ত ঋণাত্মক চার্জের কণার মতো আচরণ করে। পোলার অণুতে পরমাণুগুলো বাইরের শক্তিস্তরের ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে কভ্যালেন্ট বন্ড বা সন্নিবেশ বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত থাকে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="স্মার্টফোন হারিয়ে গেলে কী করবেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/16/1731753526-07b04c6c2f7b6b7ddeafe228a2fd2c74.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>স্মার্টফোন হারিয়ে গেলে কী করবেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/16/1447264" target="_blank"> </a></div> </div> <p>যেমন পানির অণু একটি পোলার অণু। পানির অণুতে হাইড্রেজেনের চেয়ে অক্সিজেনের প্রান্তটাতে বেশি ইলেকট্রন থাকে। তাই অক্সিজেনের প্রান্তটাকে ঋণাত্মক পোল এবং হাইড্রোজেন প্রান্তটাকে ধনাত্মক পোল হিসেবে বিবেচিত হয়।</p> <p>অন্যদিকে রিডবার্গ অণুগুলো উত্তেজিত অবস্থার পরামাণুদের দিয়ে গঠিত। পরামাণুকে উত্তেজিত করে এদের ইলেকট্রনগুলোকে উচ্চশক্তিস্তরে নিয়ে অণু গঠন করলে সেটাকে রিডবার্গ অণু বলে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="এবার হলো রেডিও বার্স্টের রহস্য উদঘাটন!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/16/1731752804-62bbe0700afebbe8f113c57517d3473e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>এবার হলো রেডিও বার্স্টের রহস্য উদঘাটন!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/16/1447260" target="_blank"> </a></div> </div> <p>যেমন, হাইড্রোজেনের দুটি পরমাণুকে উত্তেজিত করে এদে ইলেকট্রন n=30 শক্তিস্তরে নেওয়া হয়। তারপর দুটি পরমাণু দিয়ে একটা হাইড্রোজেন পরমাণু তৈরি করা হয়। তখন সেই হাইড্রোজেন অণুকে রিডবার্গ অণু বলা হয়।</p> <p>কিন্তু পোলার অণুতে পরমাণুর মিথস্ক্রিয়া খুবই দুর্বল। অন্যদিকে রিডবার্গ অণুর স্থায়ীত্বকাল খুব কম। তাই এদের দিয়ে আণবিক বোস-আইনস্টাইন কন্ডেনসেট তৈরির প্রক্রিয়া ব্যর্থ হয়। তখন বিজ্ঞানীরা তৃতীয় আরেকটি পদ্ধতিতে চেষ্টা করেন। তারা ডাইপোলার অণু ব্যবহ্যার ২০০৮ সালেই বোস-আইনস্টাইন কন্ডেনসেট তৈরির চেষ্টা করেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/16/1731740489-237b5a38c3496a6d76baec8333a0032e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/16/1447221" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তাঁরা ভেবেছিলেন এধরনের বিইসি কোয়ান্টাম সিমুলেটর হিসেবে কাজ করতে পারে। ২০০৮ সালে কোলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ল্যাবরেটরির ডেবোরা জিন ও জুন ইয়ি এবং পটাশিয়াম-রুবিডিয়াম ডাইপোলার অণু নিয়ে কাজ করেন।</p> <p>এই অণুকে তারা ৩৫০ ন্যানোকেলভিন পর্যন্ত ঠাণ্ডা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য তারা অপটিক্যাল টুইজার ব্যবহার করেছিনলেন। তাঁরা অনেকটা সক্ষমও হয়েছিলেন তাঁদের। ব্যবহার করে গ্যাসের উচ্চ শক্তিসম্পন্ন কণাগুলিকে বের করে দিয়ে কেবল কম শক্তির কণাগুলি রেখে দিতেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের সহজপাঠ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/14/1731576346-b16cb83476a2be92c3916d95af642500.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের সহজপাঠ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/14/1446552" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এতে অবশ্যই গ্যাসের তাপ কমছিল। কিন্তু বোস-আইনস্টাইন কন্ডেনসেট বানাতে গেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম যৌগ অর্থাৎ KRb অণু ধরে রাখতে পারছিলেন। শেষমেশ সংখ্যাটা যদি খুব কমে আসে, সেটাকে দিয়ে সত্যিকার অর্থে কোনো বিইসি তৈরি সম্ভব নয়। তাই জিন ও ইয়িদের গবেষণা শেষমেষ গবেষণায় পর্যবেশিত হয়েছিল।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="তথ্য সুরক্ষায় কোয়ান্টাম প্রযুক্তি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/12/1731398890-12ce29ea098c231cb002a131762e8196.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>তথ্য সুরক্ষায় কোয়ান্টাম প্রযুক্তি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/12/1445725" target="_blank"> </a></div> </div> <p>আসলে জিন ও ইয়ি নয়, অনেকেই তখন মনে করেছিলেন পটাশিসাম বা সোডিয়ামের মতো মোটামুটি নিষ্ক্রিয় অণুদের দিয়ে বিএইসি তৈরি করা সম্ভব। কারণ এদের ভেতর চঞ্চলতা অনেকটাই কম বলে তাঁরা মনে করতেন। কিন্তু কাজের কাজ আসলে কিছুই হয়নি। বিইসি তৈরি করার জন্য পর্যপ্ত অণু শেষ পর্যন্ত ফাঁদে আটকানো সম্ভব হচ্ছিল না।</p> <p>বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই KRb অণুগুলি পারস্পারিক মিথস্ক্রিয়া ঘটিয়ে ভেঙে পটাসিয়াম অণু (K2) এবং রুবিডিয়াম (Rb2) তৈরি করছিল। এবং টুইজার থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল। </p> <p>চলবে....</p> <p>সূত্র: নেচার</p>