<p>চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক কাউন্সিলর আবদুস সবুর লিটনের ভাড়া বাসা থেকে প্রায় সাড়ে তিন কোটি বিদেশি সিগারেটের পেপার ও অবৈধ সিগারেট স্ট্যাম্প জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা এবং কাস্টমস ভ্যাটের একটি দল। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকার রমনা আবাসিকের ফরিদ ভবনের নীচ তলায় অভিযান চালিয়ে এসব স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়।</p> <p>গুদামটির মালিক চসিকের সাবেক কাউন্সিলর আবদুস সবুর লিটন ও তার ভাই আবদুল মান্নান খোকন। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত লিটন অবৈধ সিগারেট আমদানি ও বিপণন করতেন। এই ব্যবসায় পার্টনার ছিলেন নওফেল এমন অভিযোগ রয়েছে। </p> <p>কাস্টমস গোয়েন্দা সূত্র জানায়, অভিযানে তিন কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার পিস সিগারেট স্ট্যাম্প, ১৪৮টি সাদা বড় রোল, ৪২৫টি সাদা ছোট রোল, ১২৬টি কালো বড় রোল ও এক হাজার ৩৭টি কালো ছোট রোল জব্দ করা হয়েছে।</p> <p>দীর্ঘদিন ধরে ওরিস ও ইজি লাইটসের মতো বিদেশি ব্র্যান্ডের সিগারেটের নকলসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট তৈরি করে বাজারে সরবরাহ করে আসছিলেন লিটন। যা ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো বড় শহরগুলোতে বিক্রি করা হচ্ছে। দেশের অবৈধ সিগারেট বাজারের একটা বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো ও তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো। এ দুই প্রতিষ্ঠানের বড় অংশের মালিক লিটন ও তার ভাই।</p> <p>কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, অভিযানে ভবনের নীচ তলায় একটি গোডাউন থেকে সাড়ে তিন কোটি অবৈধ সিগারেট স্ট্যাম্প ও বিদেশি সিগারেট পেপার পাওয়া গেছে।</p> <p>২১ মে সিআইসি ও শুল্ক গোয়েন্দারা কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বিজয় ইন্টারন্যাশনালের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। সেখান থেকে জব্দ করা নথি ও শুল্ক কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, অবৈধভাবে আমদানি করা কাঁচামাল দিয়ে সিগারেট তৈরিতে তামাক কোম্পানির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ৯ মে শুল্ক গোয়েন্দারা তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকোতে অভিযান চালায়।</p>