<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্বজুড়ে সংঘাতের ফলে সৃষ্ট ক্ষুধায় প্রতিদিন সাত হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২১ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা অক্সফামের এক নতুন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে গত বুধবার </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফুড ওয়ারস</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবেদনে সংঘাতে জর্জড়িত ৫৪টি দেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২৮ কোটি ১৬ লাখ মানুষ প্রতিদিন তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন হচ্ছে। এসব দেশে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির অন্যতম কারণ সংঘাত। বর্তমানে এসব দেশে উদ্বাস্তুর সংখ্যা বেড়ে রেকর্ড ১১ কোটি ৭০ লাখ হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অক্সফাম বলছে, সংঘাতের কারণে শুধু ক্ষুধা বাড়ছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমনটা নয়। বরং সংঘাতময় এলাকায় বিবদমান পক্ষগুলো সক্রিয়ভাবে খাদ্য, পানি ও জ্বালানি অবকাঠামোকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। একই সঙ্গে খাদ্য সহায়তা আটকে দিচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধের মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনাহার সংকটের অনুপাত</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সম্পর্কে সতর্ক করেছিল তিনটি সংস্থা। এ ছাড়া গাজায় তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অনুপাত গত বছরের শেষ থেকে বিশ্বব্যাপী নতুন রেকর্ড গড়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খাদ্য ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা অক্সফামের এমিলি ফার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্বজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত পক্ষগুলোর কারণে ক্ষুধা একটি প্রাণঘাতী অস্ত্রে পরিণত হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, আজকের খাদ্য সংকট মূলত ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি। গাজায় প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ এবং সুদানে প্রতি ১০ লাখের মধ্যে সাড়ে সাত লাখের বেশি মানুষ অনাহারে আছে। এর মধ্যে গাজায় অনাহারীদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তার ৮৩ শতাংশই পৌঁছায় না। তাই খাদ্যের ওপর যুদ্ধের বিধ্বংসী প্রভাব প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যেসব দেশ নির্দিষ্ট কোনো পণ্যের রপ্তানির ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল, সেসব দেশে যুদ্ধ, বাস্তুচ্যুতি ও ক্ষুধার সংকট দেখা দেয়। উদাহরণস্বরূপ : সুদানের রপ্তানি আয়ের ৯৫ শতাংশ আসে স্বর্ণ ও পশুসম্পদ থেকে। এ ছাড়া বিভিন্ন খনি খননের কারণে সহিংস সংঘাত বাড়ায় এবং দূষণের কারণে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ায় লোকজন তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমিলি ফার বলেন, বড় আকারের বিদেশি ও অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ প্রায়ই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়িয়ে তুলছে। বিনিয়োগকারীরা ভূমি ও পানির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করায় স্থানীয়রা বাস্তুচ্যুত হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অক্সফামের মতে, সংঘাতের কারণে জলবায়ুসংকট, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং বৈষম্যের মতো সংকট তীব্র হয়ে ওঠে। জলবায়ুসংক্রান্ত দুর্যোগ যেমন ক্ষরা ও বন্যা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনা মহামারির কারণে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় আফ্রিকার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে ক্ষুধা তীব্র আকার ধারণ করেছে।</span></span></span></span></span></p>