<p style="text-align:justify">টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ওসি, দুই এসআইসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১০০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিতে অন্ধ হওয়া হিমেল মিয়ার মা নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে সোমবার (৭ অক্টোবর) টাঙ্গাইল আদালতে এই মামলা করেন।</p> <p style="text-align:justify">মামলায় মির্জাপুর থানার প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম, দুই উপপরিদর্শক (এসআই) রামকৃষ্ণ ও আব্দুল করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মেজর (অব) খন্দকার আব্দুল হাফিজ, সাবেক সাংসদ খান আহমেদ শুভর ব্যক্তিগত সহকারী মীর আসিফ অনিক, বাঁশতৈল ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল দেওয়ানসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহস্রাধিক ছাত্র-জনতা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গোড়াই হাইওয়ে থানার সামনে পাকা রাস্তার ওপর শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ করা কালে আসামিরাসহ পুলিশের আরও ২৫-৩০ জন সদস্য, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের আরো ৪০০/৫০০ জন দুপুর আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র এবং দেশী অস্ত্র রাম দা, চাপাতি, কোড়াল, লাঠি, বল্লম, ইট পাথর নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র জনতার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা ছররা গুলি ছুড়লে হিমেল গুরুতর আহত হয়ে অন্ধ হয়। হিমেল বর্তমানে সিএমএইচ এ চিকিৎসাধীন।</p> <p style="text-align:justify">ঘটনার পর হিমেল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আন্দোলনে অংশ নেয়া চার সহপাঠীকে হাইওয়ে থানা পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেয়ার সময় হাইওয়ে থানায় আক্রমণ করি। পরে পুলিশ ছররা গুলি ছুড়ে। এতে আমার চোখ মুখ ও মাথায় গুলিবিদ্ধ হই।</p> <p style="text-align:justify">হিমেল দুই বছর আগে উপজেলার গোড়াই উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় লেখাপড়া বন্ধ করে দেয়। পরে সে স্থানীয় একটি সাউন্ড সিস্টেমের দোকানে কাজ শুরু করে। গত ৪ আগস্ট বিকেলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে হিমেলও অংশ নেয়। তারা গোড়াই হাইওয়ে থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করলে পুলিশ টিয়ার সেল ও ছররা গুলি ছুড়ে। এতে হিমেলসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। <br />  </p>