<p style="text-align:justify">চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, তার মেয়ে-ভাইসহ ছয়জনের নামে আদালতে মামলা করা হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে এম সাইফুদ্দিন সৈয়দ নামের এক ব্যক্তি মামলাটি করেন।</p> <p style="text-align:justify">বাদীর আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাবেক মেয়র, তার মেয়েসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ।</p> <p style="text-align:justify">মামলার বাকি আসামিরা হলেন সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর মেয়ে সাবিহা তাসনিম তানিম, সাবেক মেয়রের ভাই নুরুল করিম চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান চৌধুরীকে। এ ছাড়া টিপু রহমান ও নজরুল ইসলাম অপু নামের দুজনকে আসামি করা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার বাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক এম সাইফুদ্দিন সৈয়দ। ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট মামলার বাদী কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। এমন সময় মামলার আসামিরা গাড়ি নিয়ে এসে তার সামনে দাঁড়ায়। এরপর তাকে গাড়িতে উঠতে বলে। সাইফুদ্দিন গাড়িতে উঠে বসলে তাকে চান্দগাঁও সাবরেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যায়। এ সময় তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার ভয় দেখিয়ে সাফকবলা দলিলে সাইন নিয়ে দরখাস্ত করেছিল। সেখানে ৬.৮ শতাংশ জায়গা লেখা আছে দেখতে পাই। তখন মামলার বাদী রেজাউল করিমকে বলেন, আমার জায়গার দাম চার কোটি, সেখানে জায়গায় দাম এক কোটি কেন লিখছেন। তখন মেয়র বলেন, চুপ থাকো। এক পর্যায়ে আসামিরা ৮৭ লাখ টাকার পে অর্ডার দেয়। বাকি তিন কোটি তেরো লাখ টাকা এক মাস পরে দেবে বলে জানান আসামিরা।</p> <p style="text-align:justify">মামলার বাদী এক মাস পরে জায়গার মূল দলির ও খতিয়ান নিয়ে সাবেক মেয়রের কাছে সিটি করপোরেশনে যান। সেখানে কাগজগুলো সাবেক মেয়রের কাছে দেন। তখন মামলার বাদী বাকি টাকা চাইলে সাবেক মেয়র বলতে থাকেন কিসের টাকা, কার টাকা। এই সময় তাকে আসামির অফিস থেকে বের করে দিয়ে বলেন, এ বিষয়ে মামলা করলে বাদীকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবেন।</p>