<p>সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ভারতীয় ৭৬টি কম্বলসহ আনোয়ার হোসেন (৩৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে মধ্যনগর থানার পুলিশ। গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের আদর্শগ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। </p> <p>তবে পরিবারের লোকজনদের দাবি, আনোয়ার পুলিশকে চোরাচালানের তথ্য দিতে গিয়ে নিজেই পুলিশের পাতানো জালে ফেঁসে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ ছাড়া ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে ওই কম্বলগুলোর প্রকৃত চোরাকারবারিরা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="এবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে বসল জামায়াত" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/05/1728122459-fea3434c8cffcf7dfec374b7e8b6214b.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>এবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে বসল জামায়াত</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/05/1432060" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে মাদক উদ্ধার ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল ডিউটি পালন করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের আদর্শগ্রামে সেলিম নামের একজনের বসতঘর থেকে ভারতীয় ৭৬টি কম্বল জব্দ করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে আনোয়ার নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দকৃত কম্বলের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা। <br />  <br /> অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত আনোয়ার মূলত পুলিশের তথ্যদাতা হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক, চোরাচালানসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডের তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করে আসছিল। ওই দিন উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন আদর্শগ্রামের যে ঘরটিতে ভারতীয় কম্বলগুলো জব্দ করা হয়েছিল। ওই ঘরটি তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। তখন মধ্যনগর থানার এসআই তপন চন্দ্র দাস আনোয়ারকে ওই ঘরের চাবি সংগ্রহ করার জন্য বলেন। চাবি সংগ্রহ করতে না পারায় ঘরের তালা ভেঙে সেখান থেকে কম্বলগুলো জব্দ করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে  আনোয়ারকে চোরাকারবারি সাজিয়ে জব্দকৃত কম্বলের সঙ্গে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জব্দকৃত কম্বলগুলোর প্রকৃত মালিক  বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের গোলাগাঁও গ্রামের চোরাকারারি জহিরুল (৩৫), মাটিয়ারবন গ্রামের সুলতান মিয়া (৩৬) ও বাঙালভিটা গ্রামের আব্দুস সাত্তার (৪২)। এ ছাড়া এদের নেতৃত্বে কয়েকটি চোরাকারবারি চক্র ভারতীয় গরু-মহিষ, মাদকসহ মহিষখলা সীমান্তে চোরাচালানের ব্যাপক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। এসব চোরাকারবারির সখ্যতা রয়েছে মধ্যনগর থানার এসআই তপনের।</p> <p>তবে আনোয়ার হোসেনের ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন বলেন, তার ভাই আনোয়ার কোনো চোরাকারবারি নয়। চোরাচালানের ব্যবসা করার মতো তার কোনো অর্থকড়িও নেই। তাকে পরিকল্পিতভাবে চোরাকারবারি বানিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। তার ভাই আনোয়ার পুলিশকে ভারতীয় চোরাচালানের খবর দিতে  গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেছেন।</p> <p>মধ্যনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তপন চন্দ্র দাস বলেন, আনোয়ার এলাকায় চোরাকারবারি হিসেবে পরিচিত। যে ঘরটি থেকে তারা কম্বল জব্দ করেছেন সে ঘরের চাবি আনোয়ারের কাছে ছিল।</p> <p>মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সজীব রহমান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত চোরাকারবারি আনোয়ারের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।</p>