<p>সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকা বিশ্বম্ভরপুর। এ উপজেলায় ৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অর্ধশত করাত কল। করাতকল মালিক ও অসাধু কাঠ ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে চোরাই পথে গাছ এনে ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছ এনে চাহিদা মতো কাঠ ফালী করা ও নির্বিচারে গাছ কেটে বিক্রি করার কাজ নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।</p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার তাহিরপুর, মধ্যনগর, ছাতক, দোয়ারা বাজার সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা সীমান্ত এলাকায় হওয়ার কারণে নিয়মনীতি অনুসরণ না করেই তিন শতাধিক করাতকল বসিয়ে জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মালিকপক্ষ ও সীমান্ত চিহ্নিত চোরাকারবারিরা। তারা ভারত থেকে বিভিন্ন সাইজের গাছ এনে চাহিদা মতো কাঠ তৈরি করে জেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করছে। এ ছাড়াও জেলার অন্যান্য উপজেলায় কোনো নিয়মনীতিরই তোয়াক্কা করছে না করাত কলগুলো। একটিরও নেই কোনো লাইসেন্স।</p> <p>বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বন আইন ১৯২৭ ও তৎপ্রণীত সমিল (লাইসেন্স) বিধিমালা ২০১২ অনুযায়ী কোনো সমিল মালিক লাইসেন্স না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না। লাইসেন্স নেওয়ার পর থেকে প্রতি বছর তা নবায়ন করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া যেখানে সেখানে সমিল স্থাপন করা যাবে না।</p> <p>জেলার সচেতন মহল বলছে, দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় কঠোর নজরদারি না থাকায় ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রভাব বিস্তার করে যত্রতত্র গড়ে ওঠা এসব সমিল বা করাত কলের ব্যবসাও বেশ জমজমাট আর সরকার হারাচ্ছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব।</p> <p>এ বিষয়ে করাতকল মালিক ও চালকদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কোনো কথাই বলতে রাজি হয়নি।</p> <p>বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মফিজুর রহমান জানান, প্রায় সময়ই অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়। এ ছাড়াও বন বিভাগের একটি অফিস আছে তাদের আমি বলেছিলাম এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য।</p>