<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুনামগঞ্জের সীমান্ত নদী যাদুকাটা। বালুর জন্য বিখ্যাত নদীটিতে অবৈধভাবে পাথরও উত্তোলন করা হয়। প্রাকৃতিক বালুমহালটি ইজারাদারদের লোভের কারণে এখন সংকটাপন্ন। পরিবেশবিদদের মতে, অতীতের ইজারাদারদের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিজারাগিরি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> (অমানবিক কর্মকাণ্ড) কারণে নদীটি এখন চরম সংকটাপন্ন। সনাতন উপায়ে বালু-পাথর আহরণের বদলে চলছে ড্রেজার মেশিনে আহরণ। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা গত ইজারা বছরের চেয়ে কমে প্রায় ৪৬ কোটি টাকায় ইজারা নিয়ে অবৈধ ও প্রকৃতিবিধ্বংসী উপায়ে বালু-পাথর আহরণ করছেন। দুজনের নামে ইজারা হলেও আওয়ামী লীগের বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরাও পরিবেশবিধ্বংসী ড্রেজারে মহাল ও মহালের বাইরে থেকে বালু-পাথর আহরণ করেছেন। নির্বিঘ্নে বালু-পাথর আহরণ করতে স্থানীয়ভাবে অন্য দলের নেতাকর্মীদেরও লুটপাটে জড়ো করেছিলেন তাঁরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) গত ২২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউসে সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করে যাদুকাটা নদীটি সাময়িক ইজারা বন্ধে আনুষ্ঠানিক দাবি জানায়। সংকটাপন্ন নদীটি ড্রেজার মেশিন বন্ধ না করে ফের ইজারা দেওয়ায় সরকারের সংশ্লিষ্ট তিন সচিবসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ২৭ ফেব্রুয়ারি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিল বেলা। এদিকে উচ্চ আদালতের অপর এক রিট পিটিশনের ঘটনায় ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৪৩১ বাংলার ইজারা দরপত্র আহবান ও ইজারা প্রদানকে অবৈধ ঘোষণা করেছিল উচ্চ আদালত। পরে আওয়ামী লীগের ইজারাদাররা তৎকালীন সরকারের শীর্ষ আমলা ও নেতাদের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের কাছে খাজনা দিয়ে দখল বুঝে নিয়ে বালু-পাথর আহরণ শুরু করে। বেলার নোটিশেরও জবাব দিয়ে ইজারাদারদের আহরণে বৈধতা দেয় প্রশাসন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এই নদীতে এখনো বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। নদীতে শ্রমিক আছে প্রায় ১০ হাজার। শুধু বালুমহাল নয়, ইজারাদাররা এই সুযোগে খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১৭৭ একর আয়তনের পার্শ্ববর্তী পাথরমহালও ভোগদখল করছে অবৈধভাবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুনামগঞ্জের শ্রমিক নেতা সাইফুল আলম সদরুল বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যাদুকাটায় ড্রেজার ও বোমা মেশিনে বালু উত্তোলন শুধু পরিবেশ বিধ্বংসই হচ্ছে না, শ্রমিকদের পেটেও লাথি মারা হচ্ছে। বলা যায়, ইজারাদাররা বিজারাগিরি করছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) সিলেটের সমন্বয়ক শাহ শাহেদা বলেন, এখনো নদীর তীর কেটে বালু-পাথর আহরণ চলছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইজারাদার যুবলীগ নেতা খন্দকার মঞ্জুর আহমদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তাঁর নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাব্বির আহমদ আকুঞ্জি বলেন, বেলার আইনি নোটিশ পাওয়ার পর আইন মেনেই জবাব দিয়ে ইজারা দেওয়া হয়েছিল। তবে পরিবেশবিধ্বংসী উপায়ে বালু আহরণ করার খবর পেয়ে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।</span></span></span></span></p>