<p style="text-align:justify">ঢাকার দোহারে জীবিত মানুষকে মৃত বলে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুর করেছে স্থানীয় জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মাঠে নামে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে এমন পরিস্থিতিতে পুরো এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করে।</p> <p style="text-align:justify">স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার পৌরসভা খাড়াকান্দা এলাকার যুবক মো. আনোয়ার হোসেন বাড়ির পাশে একটি ডোবায় বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে যায়। সেখানে বড়শিতে বিদ্যুৎস্পর্শ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেল রানা তাকে মৃত ঘোষণা করে।</p> <p style="text-align:justify">আনোয়ারের পরিবারের দাবি, বাড়িতে নিয়ে আসার পর সে হাত-পা ও চোখ নাড়াচাড়া করে। পরে আনোয়ারকে নেওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের সঙ্গে এ বিষয়ে বাকবিতণ্ডা হয় রোগীর স্বজনদের। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা হাসপাতালের বহির্বিভাগে ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে হাসপাতালে জড়ো হয় বিক্ষুব্ধরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অন্তত দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।</p> <p style="text-align:justify">সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মো. লাইলাতুল আসিফ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধরা হাসপাতাল ত্যাগ করে। খবর পেয়ে দোহার উপজেলা জেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুন খানও ঘটনাস্থলে আসেন।</p> <p style="text-align:justify">নিহত আনোয়ারের লাশ রাতেই বাড়িতে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। আনোয়ারের বাবা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দোহার পৌরসভা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন অভিযোগ করেন, হাসপাতালে আনার পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবহেলা করেছেন চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এমনকি একটি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা করে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা।</p> <p style="text-align:justify">দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা করেনি নিহতের পরিবার।</p>