<p style="text-align:justify">গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা শওকত আলী দিদার হত্যা ঘটনায় ১৬১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের এমপি শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক মহিলা এমপি নাজমা আক্তারসহ ১১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং আরো ১৫০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে। </p> <p style="text-align:justify">ঘটনার ৫ দিন পর নিহতের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম, সাবেক বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের মেয়ে কানতারা খানসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখসহ ১১৭ জনের নাম রয়েছে। মামলাটি রাজনৈতিক হত্যা মামলা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। </p> <p style="text-align:justify">মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দণ্ডবিধির ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩৪১/৩০২/১০৯ ও ১১৪ ধারা উল্লেখ  করা মামলায় বাদী তার আরজিতে লিখেছেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী গাড়িবহর নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছিলেন। এস এম জিলানীর সঙ্গে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার পথে তার স্বামীর গাড়িবহর সদর উপজেলার চরপাথালিয়া গ্রামের দোলা পেট্রল পাম্পের সামনে পৌঁছালে একদল আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে গাড়ি বহরে হামলা চালায়।</p> <p style="text-align:justify">এ সময় বহরে একটি গাড়িতে থাকা তার স্বামী শওকত আলী দিদারকে আসামিরা গাড়ি থেকে নামিয়ে লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে মহাসড়কের পাশে রাস্তার পাশে ঢালে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় মামলা করার আগেই ১২ জনকে সন্দেহমূলকভাবে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। </p> <p style="text-align:justify">গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, ‘মামলা রেকর্ড হয়েছে। মামলা হওয়ার আগেই আমরা সন্দেহমূলকভাবে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছি। এজাহারের মধ্যে এদের কারো নাম থাকলে তাকে এই মামলার আসামি হিসেবে গণ্য করা হবে। এ ছাড়া যাদের নামে মামলা হয়েছে, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।’</p>