<p>বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছেন। ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। আবু সাঈদের পাসের খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েছে তার পরিবারের সদস্যরা। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরাও তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট করেছেন।</p> <p>সোমবার (১৪ অক্টোবর)  ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন।</p> <p>প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, রংপুর বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আবু সাঈদ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তিনি ইবতেদায়ী জেনারেল শিক্ষক (ইংরেজি ও বাংলা বিষয়) পদে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। পরীক্ষায় আবু সাঈদের রোল নম্বর ছিল ২০১২৫৬২৯৭। বাবার নাম মো. মকবুল হোসেন। মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম।</p> <p>আবু সাঈদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনে শহীদ হওয়ার চার দিন আগেই ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার স্কুল ও স্কুল-২ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন আবু সাঈদ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="১৮তম নিবন্ধনের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৮৩ হাজার ৮৬৫" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/14/1728905928-88251dcfdda65e66b671d1f6fd54e29f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>১৮তম নিবন্ধনের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৮৩ হাজার ৮৬৫</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/14/1435068" target="_blank"> </a></div> </div> <p>আবু সাঈদ জীবনের প্রথম পরিক্ষা অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলন গ্রুপে (১২তম ব্যাচ) লিখেছিলেন, ‘কালকে আমার সকাল বেলায় একটা এক্সাম ছিল লাইভে প্রথম জব এক্সাম তো। কি করব এটাই ভাবছিলাম।’</p> <p>বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শুয়াইব আহমেদ বলেন, ‘আমরা কয়েকজন আবু সাঈদকে কতবার বলেছি ইংরেজি ডিপার্টমেন্টের ১২ব্যাচের সবার প্রথম কেউ যদি চাকরি পাই সেটা হবে আবু সাঈদ। আমাদের কথা সত্য হলো, তবে সেই আবু সাঈদ শুধু আমাদের মাঝে নেই।’</p> <p>আবু সাঈদের ফল শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েছে তার পরিবার। আবু সাঈদ বড় ভাই আবু হোসেন কান্নারত অবস্থায় বলেন, ‘আজ আবু সাঈদ বেঁচে নাই। ভাই জানে না সে তার চাকরি পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে। আমাদের পরিবার সবাই এটাই আশা ছিল আবু সাঈদ একদিন চাকরি করবে।’</p>