<p>বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আবদুস সালামসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।</p> <p>বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) প্রায় সাত বছর আগে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলা বাতিলের এই রায় দেন। ২০১৭ সালে আবদুস সালামের আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। এই রুলটিই যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিলেন উচ্চ আদালত।</p> <p>মামলার অন্য দুই আসামি ছিলেন- একুশে টেলিভিশনের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক মাহাথীর ফারুকী খান ও চ্যানেলটির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক কনক সারওয়ার। আদালতে আবদুস সালামের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহদীন মালিক। এ সময় তারেক রহমানের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, রুহুল কুদ্দুস কাজল উপস্থিত ছিলেন।</p> <p>রায়ের পর শাহদীন মালিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ মামলার আইনি কোনো ভিত্তি চিল না। রুলের চূড়ান্ত শুনানি করে মামলাটি সব আসামির ক্ষেত্রে বাতিল করেছেন।’</p> <p>বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বলেন, ‘রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করতে যেসব আইনি উপাদান লাগে, এ মামলার ক্ষেত্রে সে ধরনের কোনো উপাদান ছিল না। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে হয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। এ মামলা করা হয়েছিল থানায়। ফরে আইনগতভাবে এ মামলা চলতে পারে না। রাষ্ট্রপক্ষ ও বিবাদীপক্ষের আইনজীবীদের শুনে পুরো মামলাটিই বাতিল করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।’</p> <p>২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য একুশে টিভি সরাসরি সম্প্রচার করলে পরদিন তারেক রহমান ও আবদুস সালামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চায় তেজগাঁও থানা পুলিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেয়ে তেজগাঁও থানার এসআই বোরহান উদ্দিন ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় এ মামলা করেন। এতে তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়।</p> <p>মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন পুলিশের গোয়েন্দা পরিদর্শক এমদাদুল হক। সেখানে তারেক রহমান ও আব্দুস সালামের পাশাপাশি মাহাথীর ফারুকী খান ও কনক সারওয়ারকেও আসামি করা হয়।</p> <p>এর আগে নোয়াখালীর আদালত গত ১ অক্টোবর রাষ্ট্রদ্রোহ আরেক মামলা থেকে তারেক রহমানকে খালাস দেন। ২০১৫ সালে এই মামলাটি করেছিলেন সে সময়ের জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লব। তার আগে গত ২১ আগস্ট তারেক রহমানকে রাষ্ট্রদ্রোহের আরেক মামলা থেকে খালাস দেন নোয়াখালীর আদালত। এ ছাড়া গত ২৩ অক্টোবর হাইকোর্ট তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানার চাঁদাবাজির চার মামলা বাতিল করেন।</p> <p>এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীর দারুসসালাম থানার নাশকতার আরেক মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এ মামলা বাতিল প্রশ্নে রুল যথাযথ ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। বুধবার (৩০ অক্টোবর) দারুসসালাম ও যাত্রাবাড়ী থানার নাশকতার ১১ মামলা বাতিল করেননি এই হাইকোর্ট বেঞ্চ।<br />  </p>