<p style="text-align:justify">বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও লক্ষ্মীপুরে দুই শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে আরো দুটি অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবার এই অভিযোগ দেয়। অভিযোগ দায়েরে সহায়তা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।</p> <p style="text-align:justify">জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “গত ৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণ-অভ্যুত্থানের এক দফা তথা ‘ফ্যাসিবাদীব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৫৫ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক কমিটি আত্মপ্রকাশ করেছিল। ৮ দফা কর্মসূচির দ্বিতীয় দফায় ছিল ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত নির্মম হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা। যে কারণে জাতীয় নাগরিক কমিটি হতাহতদের পরিবারকে বিনা মূল্যে আইনি সহায়তা দিতে শুরু করেছে। সে ধারাবাহিকতায় ছাত্র-নাগরিকের অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের শিকার দুজন শহীদের পরিবারকে অভিযোগ দায়েরে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।”</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="‘সংশোধন নয়, নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে’" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/03/1727968868-4f6f079a063ad5d4431f5aff53e78a1e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>‘সংশোধন নয়, নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে’</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/dhaka/2024/10/03/1431498" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">জানা যায়, কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলাকালে গত ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানার কুতুবখালী কাজলা পেট্রল পাম্পের পাশে ফ্যাসিবাদের দোসরদের গুলিতে নিহত হন দনিয়া কলেজের বিএ (পাস) কোর্সের ছাত্র সাকিব হাসান। আর ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুর শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় গুলিতে নিহত হন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র ওসমান পাটওয়ারী ওরফে ওসমান গণি। এ দুই হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে অভিযোগ দেন সাকিব হাসানের বাবা মো. মর্তুজা আলম এবং ওসমান গণির বাবা মো. আব্দুর রহমান। লিখিত অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩-এর ৩(২)(এ), ৩(২)(গ), ৩(২)(এইচ), ৪(১) এবং ৪(২) ধারা অনুযায়ী গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।</p>