<p>ক্রীড়া প্রতিবেদক : ঘড়ির কাঁটায় তখন ভোর ৫টা, পূর্ব আকাশে তখনো সূর্যের দেখা মেলেনি। ভোরের আড়মোড়া ভাঙার আগেই ৩০০ ফিটের শেখ হাসিনা সরণিতে হাজির দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বয়সের প্রায় ছয় হাজারের বেশি দৌড়বিদ। যাঁদের সবারই লক্ষ্য এক—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথনে দৌড়ানো। ‘রান ফর গ্রিন ঢাকা’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে গতকাল হয়ে গেল এই ম্যারাথন।</p> <p>তিন ক্যাটাগরিতে অংশ নিয়েছেন এসব দৌড়বিদ। ফুল ম্যারাথনে এলিটে পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কেনিয়ার জোসেফ কিয়েংগো। মহিলা বিভাগে সেরা হয়েছেন ইথিওপিয়ার লেনসা দেবেলে। সাফ অঞ্চলের পুরুষদের মধ্যে সেরা হয়েছেন ভারতের আনিশ থাপা মাগার। বাংলাদেশি পুরুষদের মধ্যে আল আমিন এবং নারীদের মধ্যে সেরা হয়েছেন পাপিয়া খাতুন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সেরাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘ম্যারাথনের সঙ্গে অনেক মানুষের সম্পৃক্ততা বেড়েছে এবং স্বাস্থ্যসচেতনতা সৃষ্টি করছে। ম্যারাথন শুধু শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বাড়ায় না, এটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও বাড়ায়।’ ৩৫ জনকে আর্থিক সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।</p> <p>ফুল ম্যারাথনে যাঁরা অংশ নিয়েছেন তাঁদের দৌড়াতে হয়েছে প্রায় ৪২ কিলোমিটার, আর হাফ ম্যারাথনে ২১ কিলোমিটার। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য এমন আয়োজন নিয়মিত চান অংশ নেওয়া দৌড়বিদরা। ফুল ম্যারাথনে সাফ অঞ্চলের মধ্যে সেরা হওয়া নেপালের সন্তোষী শ্রেষ্ঠা ম্যারাথনের খবর শুনলেই নিজ উদ্যোগে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করেন, ‘ম্যারাথনের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শুধু প্রতিযোগিতার জন্য নয়, স্বাস্থ্যসচেতনতার জন্য আমি অংশ নিয়ে থাকি। এখানে আমার ক্যাটাগরিতে সেরা হতে পেরে ভালো লাগছে।’ শ্রেষ্ঠার মতো বেশির ভাগই মানসিক সুস্থতার কথা ভেবেই ম্যারাথনে অংশ নিয়ে থাকেন। হাফ ম্যারাথনে অংশ নেওয়া সাইদুর রহমানের পছন্দের খেলা এটি, ‘সুস্থ থাকার জন্য অনেকেই অনেক রকমের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে। ম্যারাথন আমার অনেক পছন্দের খেলা। কেননা এর জন্য আপনি একাই প্রস্তুতি নিতে পারবেন, তেমনি হাজার হাজার দৌড়বিদের সঙ্গে দৌড়ানোর মজাই অন্য রকম।’</p> <p> </p> <p> </p>