<p>বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভালুকঘর গ্রামের গার্মেন্টসকর্মী এস এম তৌহিদুর রহমানের (২৮) পরিবার এখন অর্থকষ্টে ভুগছে। ভালুকঘর গ্রামের আব্দুর জব্বারের ছোট ছেলে তৌহিদুর। তিনি ঢাকায় ক্রয়ডন-কাউলুন ডিজাইনস লিমিটেডে জুনিয়র স্পটম্যান পদে চাকরি করতেন। গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। তৌহিদুরের স্ত্রী নাসরিন আক্তার সাথী তাঁর দুই বছরের শিশুকন্যা আয়শা আয়াতকে নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। বাবা হারানো সন্তানকে কী করে বড় করবেন, কিভাবে চলবে সংসার—এসব নিয়ে দুশ্চিন্তায় সাথী।</p> <p>তৌহিদুর রহমানের বাবা আব্দুর জব্বারের সংসার চলত ছোট ছেলের আয়ের ওপর। সংসারে মা-বাবার পাশাপাশি স্ত্রী ও এক কন্যাসন্তান রয়েছে। ছেলে হারিয়ে আব্দুর জব্বার হয়ে পড়েছেন হতবাক। সংসার চলছে এখন কষ্টের মধ্যে। বড় ছেলে জাহিদ হাসান থাকেন ঢাকায়। তৌহিদুরই গ্রামের বাড়ির সংসার দেখাশোনা করতেন।</p> <p>তৌহিদুর রহমানের বড় ভাই জাহিদ হাসান জানান, গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকায় তাঁর ছোট ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শহীদ হন। পরে তাঁর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করা হয়।</p> <p>আব্দুর জব্বার জানান, তাঁর ছোট ছেলেই গ্রামের সংসার দেখাশোনা করতেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ যাওয়ার পর থেকে সংসারে চলছে দারুণ অভাব-অনটন। সন্তান হারিয়ে তৌহিদুরের মা পাগলপ্রায়। সারাক্ষণ কান্নাকাটি করেন। তাঁরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সন্তান হত্যার বিচার দাবি করেছেন।</p> <p>তৌহিদুরের স্ত্রী নাসরিন আক্তার সাথী তাঁর দুই বছরের শিশুকন্যা আয়শা আয়াতকে নিয়ে এখন রয়েছেন বাবার বাড়িতে। নাসরিন আক্তার বলেন, তিনিও তাঁর অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। তাঁরও বাবার পরিবার অসচ্ছল।</p> <p>সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তাফা বাবু বলেন, ‘এস এম তৌহিদুর রহমানের বাবা অত্যন্ত গরিব মানুষ। তাঁর পাঁচ কাঠা জমি ছাড়া আর কোনো কিছু নেই। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।’</p> <p> </p>