<p style="text-align:justify">ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় বৃহস্পতিবার রাতে দায়ের করা একটি মামলায় ২৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় সাবেক দুই মন্ত্রী, সাবেক আট সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদের সাবেক দুই চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের আটজন চেয়ারম্যান, পাঁচজন সাবেক পৌর মেয়র, চারজন সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার শেরপুর এলাকার বাসিন্দা আনিছুর রহমান বাদি হয়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর মডেল থানায় নাশকতা ও বিষ্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেন। তবে শনিবার বিকেল নাগাদ এ মামলায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানিয়েছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন। </p> <p style="text-align:justify">মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা গত ৪ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ জনগণকে মারধর করেন। আসামিরা এলাকায় বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ যেন ‘টাকার কারখানা’, খালি পকেটে এসে নেতারা কোটিপতি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729942584-a8ad113e6ca82416c15537b4ca1c3d51.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ যেন ‘টাকার কারখানা’, খালি পকেটে এসে নেতারা কোটিপতি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/10/26/1439371" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ সৈয়দ একে একরামুজ্জামান, একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন মঈন, একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান আলম সাজু ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ অ্যাডভোকেট মো. শাহ আলম, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল আলম এমএসসি, জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, আখাউড়া পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র এম.জি হাক্কানী ও এমরান উদ্দিন জুয়েল, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন, কসবা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার জীবন ও অ্যাডভোকেট আনিছুল হক, আখাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, শেখ বোরহান উদ্দিন আহমেদ ও আবুল কাশেম ভূঁইয়া, নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ.টি.এম মনিরুজ্জামান সরকার, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সী, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল হোসেন রবি, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরিন ফাতেমা জুঁই, আখাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন শাপলু ও মুরাদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান বাবুল, সহ-সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন খাঁন খোকন, সহ-সভাপতি ডা. আবু সাঈদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, সাংগঠনিক শেখ মো. মহসিন ও তানজিল আহমেদ, জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি মিনারা আলম, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি কাউছার আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ডা. ডিউক চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম জহির, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. এ. এইচ মাহবুব আলম, জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুল হক ভূইয়া হামদু, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, জেলা যুবলীগের সভাপতি শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন রানা প্রমুখ।</p> <p style="text-align:justify">এছাড়া, বেশ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের অনেককে এ মামলার আসামি করা হয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ফ্যাসিবাদ মুক্তি আন্দোলনের কোনো একক মাস্টারমাইন্ড নেই : জামায়াত আমির" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729941053-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ফ্যাসিবাদ মুক্তি আন্দোলনের কোনো একক মাস্টারমাইন্ড নেই : জামায়াত আমির</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/26/1439365" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">জানা যায়, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এ পর্যন্ত যে কয়টি মামলা হয়েছে তার মধ্যে এ মামলায় জেলার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকে আসামি করা হয়েছে।</p>