<p style="text-align:justify">বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন পরবর্তী ঢালাও মামলা চলছেই। এ পর্যন্ত যত হত্যা মামলা হয়েছে তার বেশির ভাগই করা হয়েছে বাদীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানায় করা এমন দুটি হত্যা মামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। </p> <p style="text-align:justify">ভুক্তভোগীরা বলছেন, মামলা দুটিতে দেশের অন্যতম রপ্তানিনির্ভর গার্মেন্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠান ফকির গ্রুপের তিন শীর্ষ ব্যবসায়ীকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন ফকির নিটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকির আখতারুজ্জামান সিআইপি, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফকির মাশরিকুজ্জামান এবং ফকির ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকির কামরুজ্জমান নাহিদ।</p> <p style="text-align:justify">এর আগে গত ১৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী জেড আই খান পান্নাকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি করা হলে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। এরপর বাদী থানায় আবেদন করেন ওই মামলায় এই আইনজীবীর নাম ভুলবশত এসেছে, তাকে যেন মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729949508-f3ccdd27d2000e3f9255a7e3e2c48800.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/26/1439400" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">এমন আরো অনেক মামলা একইভাবে করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব হত্যা মামলার আসামি কে বা কারা, তা জানেন না খোদ বাদী কিংবা সাক্ষী। ঢালাও আসামিদের বড় একটি অংশ ব্যবসায়ী। অভিযোগ উঠেছে হয়রানি, ব্যক্তিগত রেষারেষি, পূর্বশত্রুতা, চাঁদাবাজি- এসব কারণে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঢালাও আসামি করা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, সারা দেশে এ রকম বহু মামলার অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। যেসব মামলায় বাদী অভিযুক্তদের চেনেন না। মূলত পূর্ব আক্রোশ ও ব্যাক্তিগত ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে এসব মামলা হচ্ছে। এসব মামলা ট্রায়ালে গিয়ে প্রথম পর্যায়েই বাতিল হয়ে যাবে। এতে প্রকৃত আসামিদের বিচারকাজে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হবে।</p> <p style="text-align:justify">তৈরি পোশাক শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা জানান, নারায়নগঞ্জের গার্মেন্ট সেক্টরের ব্যবসায়ীদের নামে এসব মামলার বেশির ভাগই হচ্ছে স্থানীয়দের জুট ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ ও নতুন করে দখলকে কেন্দ্র করে। ব্যবসা না পেলে টার্গেটকৃত ব্যক্তির নামে মামলা করে দিচ্ছে সুযোগসন্ধানীরা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="‘একদল ক্ষমতায় এসে বাকি দলকে শোষণ করবে, এমন বাংলাদেশ চাই না’" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729948397-f484dbe3b3e11e303470ac6ceb270f05.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>‘একদল ক্ষমতায় এসে বাকি দলকে শোষণ করবে, এমন বাংলাদেশ চাই না’</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/26/1439395" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">আড়াইহাজার থানায় হওয়া মামলার ক্ষেত্রেও প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে। মামলা দুটির বর্ণনাও অনেকটা একই রকম। স্থানীয়রা জানিয়েছে, স্থানীয় এক ব্যক্তি নিজেকে একটি রাজনৈতিক দলের নেতা পরিচয়ে নেপথ্যে থেকে ফকির গ্রুপের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছেন। ওই এলাকার শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এ মামলা করা হয়েছে। চলতি বছরের ১৯ জুলাই তার মৃত্যু হয়। তার স্ত্রী তাসলিমা আকতার গত ২১ আগস্ট আড়াইহাজার থানায় মামলাটি করেছেন। এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত ফকির গ্রুপের তিনজনকে বাদী তাসলিমা চেনেন না বলে জানান। </p> <p style="text-align:justify">ফকির গ্রুপের তিন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দ্বিতীয় মামলাটি স্থানীয় বাবুল মিয়া হত্যার ঘটনায়। বাদী গত ২২ আগস্ট মামলাটি করেন। এ মামলায় ফকির গ্রুপের তিন কর্মকর্তাকে ১০ থেকে ১৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের চেনেন কি না, এমন প্রশ্নে বাদী নুরুল আমিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার চেনার দরকার নেই।’</p> <p style="text-align:justify">ফকির গ্রুপের ব্যবস্থাপক সুমন কান্তি সিং বলেন, ‘স্থানীয় একটি অংশের আক্রোশের শিকার হয়েছেন ফকির  গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তারা। ফকির গ্রুপ থেকে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে তারা মিথ্যা মামলা করেছে। আর ফকির গ্রুপের কর্মকর্তাদের মামলার পেছনে স্থানীয় নেতা নজরুল ইসলাম আজাদ কাজ করছেন।</p> <p style="text-align:justify">আড়াইহাজার থানার ওসি এহসান উল্লাহ মামলা দুটি গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি নির্দোষ হয়ে থাকেন তদন্তে তা বেরিয়ে আসবে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বগুড়া জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি মুনজুরুল, সম্পাদক স্বপন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729948819-29ae87945c5b840038b2a7ed5ebc9aee.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বগুড়া জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি মুনজুরুল, সম্পাদক স্বপন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/dhaka/2024/10/26/1439394" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">মামলায় অভিযুক্ত ফকির গ্রুপের কর্মকর্তারা জানান, এসব মামলার কারণে তাদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। </p>