<p style="text-align:justify">দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ইতিমধ্যেই মীমাংসিত ব্যাপার। সামনের দিনে রাজনৈতিক পদক্ষেপগুলো রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতেই নেওয়া প্রয়োজন। সে জন্য সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের ধারাবাহিক আলোচনা শুরু করা উচিত ও সেটি চলমান থাকা দরকার।</p> <p style="text-align:justify">আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মিছিল-সমাবেশে এসব কথা বলেন তারা। বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী, বাসদের কেন্দ্রীয় বর্ধিত ফোরামের সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শামীম ইমাম।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="প্রমিনেন্ট দলকেও আ. লীগের অ্যাডভোকেসি করতে দেখা গেছে : আসিফ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729953725-62bf1edb36141f114521ec4bb4175579.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>প্রমিনেন্ট দলকেও আ. লীগের অ্যাডভোকেসি করতে দেখা গেছে : আসিফ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/26/1439414" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে অভ্যুত্থানকারী শক্তির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি ও রাজনৈতিক—সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে এবং ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসররা সুযোগ নিতে পারে। রাজনৈতিক ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে যতটুকু নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কার সম্ভব তা সম্পন্ন করে দ্রুত নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখসহ রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">নেতৃবৃন্দ বলেন, মূল্যবৃদ্ধি অসহনীয় পর্যায়ে এসে ঠেকেছে। আওয়ামী লীগ আমলের মতোই শুল্ক হ্রাস করেও পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানো যাচ্ছে না। অর্থাৎ মুনাফাখোর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আগের মতোই শক্তিশালী। নিত্যপণ্যের মূল্য কমানোর বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে অন্য কাজ করতে হবে। এই অভ্যুত্থানে অসংখ্য শ্রমজীবী মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন, প্রাণ দিয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। আওয়ামী লীগ শাসনে তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছিল। সেই শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষদের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করা অভ্যুত্থানের প্রথম কর্তব্য হওয়া উচিত। দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত জনসাধারণের জন্য দ্রুত রেশনের ব্যবস্থা করা দরকার।</p> <p style="text-align:justify">পুলিশ বাহিনীকে এখনো সক্রিয় করা যায়নি উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিনিয়ত বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত অপরাধ বাড়ছে। এগুলো সাধারণ জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করছে। পুলিশকে সক্রিয় করে দ্রুত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো দরকার।</p>