<p>জয়পুরহাটের কালাইয়ে সরকারি উদ্যোগে নির্মিত ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন বাসিন্দারা। উপজেলার পুনট ইউনিয়নের নান্দাইল আদর্শ গ্রামের ১৪টি টিনের ঘরের ৯টি ঘরই এখন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সেই ঘরগুলো বসবাসের অযোগ্য বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।</p> <p>জানা যায়, ২০১৬-১৮ সালে নির্মিত এই ঘরগুলোতে বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাস্তবে তা বাসযোগ্য ছিল না। ফলে গ্রামের অধিকাংশ পরিবার ঘরগুলো বিক্রি করে অন্য জায়গায় ইটের পাকা বাড়ি নির্মাণ করেছে।</p> <p>সরজমিন দেখা যায়, ১৪টি সরকারি ঘরের মধ্যে মাত্র ৫টি ঘরে বর্তমানে বাসিন্দারা থাকেন। বাকিরা নান্দাইলদীঘি কলেজের পশ্চিম পাশে গিয়ে ইটের পাকা বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জয়পুরহাটে ফিরোজ হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/20/1729414578-1aa55138d78c0d4710d039467ed451ef.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জয়পুরহাটে ফিরোজ হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/20/1437127" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বাসিন্দাদের অভিযোগ, আদর্শ গ্রামের অবকাঠামোর বেহাল দশা তাদের দুর্দশাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এখানে কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। বর্ষা মৌসুমে কাদায় আটকে থাকতে হয় দিনের পর দিন। যাতায়াতের জন্য কোনো পাকা রাস্তা নেই। ফলে বর্ষাকালে কাদা ও পানি জমে রাস্তায় চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ না থাকায় তারা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।</p> <p>বর্তমানে ওই গ্রামে বাস করা নূর মোহাম্মদ, আবুল কাসেম, জয়নাব, একমি রবিদাস ও পূর্ণিমা। তারাও চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানান।</p> <p>নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘১৮ সাল থেকে এখানে আমাদের পুনর্বাসিত করার পর থেকে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। রাস্তা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ কিছুই নেই। ফলে অনেক মানুষ ঘর ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে গেছে।’</p> <p>খয়বর আলি, লিয়াকত আলি, আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার আমাদের ঘর দিয়েছে, কিন্তু এটা বাসযোগ্য নয়। বর্ষাকালে ঘরে পানি ঢোকে, রাস্তা এত খারাপ যে বের হওয়া যায় না। পরিবারের সবাই কষ্ট পাচ্ছিল, তাই টিনের ঘরগুলো রেখে আমরা অন্যত্র পাকা বাড়ি করেছি।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ঝুঁকি নিয়ে বাঁচালেন শিশুকে, প্রশংসায় ভাসছেন প্রবাসী বাংলাদেশি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729955910-09f821a2400c1fc73ee2f1ee5572c34b.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ঝুঁকি নিয়ে বাঁচালেন শিশুকে, প্রশংসায় ভাসছেন প্রবাসী বাংলাদেশি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/10/26/1439419" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এ বিষয়ে কালাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা আক্তার জাহান বলেন, ‘নান্দাইলদীঘী আদর্শ গ্রামের অবকাঠামোগত সমস্যার বিষয়ে কেউ আমাদের অবগত করেনি। আর ৯টি পরিবার চলে যাওয়ার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’</p>