<p>সরকার পতনের সময় গত ৬ আগস্ট কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া পিলখানা হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আমিনুল ইসলামকে (৩৯) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।  </p> <p>র‌্যাব জানায়, গত ৬ আগস্ট দেশব্যাপী সহিংসতা ও সরকার পতনের উদ্ভূত সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে গত ৬ আগস্ট সকাল পৌনে ৯টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা বন্দিরা হাঙ্গামা শুরু করে। কারাগারের ভেতরে কর্তব্যরত কারারক্ষীদের মারধর ও জিম্মি করে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকজন কারাবন্দি কারা অভ্যন্তরে শতাব্দি কারাবন্দি ভবনের লকআপ গেট ভাঙচুর করে বের হয়ে ভবনের সিঁড়িতে লাগানো লোহার এঙ্গেল খুলে আক্রমণের হাতিয়ার তৈরি করে। <br /> অন্যান্য কারাবন্দিরা ভবনের লকআপ গেট ভেঙে ফেলে। কারাবন্দিরা ভবন থেকে বের হয়ে এক যোগে ভাঙচুর দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। ঘটনার একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কারারক্ষীরা এলার্ম বাজায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসলে অফ ডিউটিতে থাকা কারারক্ষীরাও এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।</p> <p>ওই সময় কারাবন্দিদের আক্রমণে প্রায় ২৫ জন কারারক্ষী আহত হয়। এ অবস্থায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা চলাকালে কারাবন্দিরা বৈদ্যুতিক পিলার ভেঙে মই বানিয়ে ওইদিন দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত বাউন্ডারির ওপর দিয়ে কারাগারের পশ্চিম দিক দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর হতে দেশের বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাবের বিভিন্ন আভিযানিক দল উল্লেখিত জেল পলাতক কারাবন্দিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। </p> <p>এরই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার পৌনে দুপুর ২টার দিকে র‌্যাব-৪ এবং র‌্যাব-১০-এর একটি যৌথ আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন মিরহাজিরবাগ এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ভাঙচুর ও কারারক্ষীদের মারধর করে জেল পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আমিনুল (৩৯) ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাবার নাম, আবুল বাসার বাড়ি সিরাজগঞ্জের চৌহালীর বাগুটিয়া গ্রামে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেপ্তারকৃত আসামি ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিডিআর বিদ্রোহে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়। পরবর্তী সময়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।</p>