<p style="text-align:justify">জলবায়ু অর্থায়ন চাহিদা-ভিত্তিক ও বাস্তবসম্মত হতে হবে উল্লেখ করে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলেছেন, আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনের মূল আলোচনা হবে অর্থায়ন নিয়ে। সেই অর্থায়ন চাহিদাভিত্তিক ও বাস্তবসম্মত করতে হলে গ্রহিতা দেশগুলোকে বাস্তবভিত্তিক চাহিদা উপস্থাপন করতে হবে। নতুন বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নে দরিদ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশের উপর কোনো শর্তারোপ না করার ব্যাপারে সরকারকে ভূমিকা নিতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহের নেটওয়ার্ক ইক্যুইটিবিডি আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন তারা।</p> <p style="text-align:justify">ইক্যুইটিবিডির চিফ মডারেটর রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তৃতা করেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ধরিত্রী কুমার সরকার, পিকেএসএফের ড. ফজলে রাব্বি, সিপিআরডির মো. শামসুদ্দোহা, সিএসআরএলের জিয়াউল হক মুক্তা, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের আহসানুল ওয়াহেদ, সিডিপির জাহাঙ্গীর হাসান মাসুম ও কোস্ট ফাউন্ডেশনের আবুল হাসান।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ফ্যাসিবাদ মুক্তি আন্দোলনের কোনো একক মাস্টারমাইন্ড নেই : জামায়াত আমির" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729941053-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ফ্যাসিবাদ মুক্তি আন্দোলনের কোনো একক মাস্টারমাইন্ড নেই : জামায়াত আমির</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/26/1439365" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">সেমিনারে ধরিত্রী কুমার সরকার বলেন, জলবায়ু সম্মেলনের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হচ্ছে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ১২৮ সদস্যের সবাইকে সম্মত হতে হয়। ফলে, দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয় না। আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের যে অবস্থানপত্র তৈরি হচ্ছে সেখানে এই সেমিনারের সুপারিশ যুক্ত করা হবে।</p> <p style="text-align:justify">ড. ফজলে রাব্বি বলেন, জলবায়ু প্রশমন বা অভিযোজনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে ধনী দেশ থেকে প্রতিশ্রুত অর্থের এক শতাংশের কম অর্থ এসেছে। আবার টাকা এলেও অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জ ও নীতির সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা অনেক সময় সেটা ব্যবহার করতে পারি না। এগুলো সমাধান করতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">সিপিআরডির শামসুদ্দোহা বলেন, জলবায়ু অর্থায়নের কোনো সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়নি। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী ধনী দেশগুলো থেকে দরিদ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে দেওয়া ঋণ ও বিনিয়োগসহ সকল অর্থই জলবায়ু অর্থায়ন বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর পাওনা সহায়তার টাকা জাতিসংঘের মাধ্যমে না দিয়ে বিশ্বব্যাংকসহ নানা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রদান করায় তারা এই টাকা সহায়তার বদলে ঋণ হিসেবে দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সঙ্গেই ব্যবসা করছে।</p> <p style="text-align:justify">রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জলবায়ু অর্থায়নের অন্তত ৭৫ শতাংশ জাতিসংঘের অধীন ইউএনএফসিসিসির মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে। যত বেশি তহবিল এইএনএফসিসিসির বাইরে যাবে, তত বেশি এই অর্থায়ন নিয়ে বাণিজ্য করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। জলবায়ু অর্থায়ন ফলপ্রসূ করতে নতুন বৈশ্বিক আর্থিক কাঠামো প্রণয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের এলইডি সিস্টেম হ্যাক, নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729940996-d792b8b490aef953d009f0fbd3211c80.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের এলইডি সিস্টেম হ্যাক, নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/business/2024/10/26/1439364" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">বক্তারা বলেন, ২১০০ সালে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয়ে গেলে সেটি আর বসবাসযোগ্য থাকবে না। আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা জলবায়ু অর্থায়নও তাই বিফলে যাবে। কাজেই, বাংলাদেশসহ সকল সরকারি প্রতিনিধি দলের মূল মনোযোগ হওয়া উচিত ২১০০ সালের বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ২০১৯ সালের তুলনায় ৪২ শতাংশ হ্রাস করার দিকে গুরুত্ব দেওয়া।</p>