<p>মূল সেতুর স্লাব ঠিকঠাক। শুধু সেতুর সংযোগ সড়কের এক পাশের নিচে মাটি নেই। পাহাড়ি ঢলের তোড়ে মাটি ভেসে গিয়ে ফাঁকা হয়ে আছে। এমন বেহাল সেতু দিয়ে প্রতিদিন চরম ঝুঁকি নিয়ে যানবাহনসহ লোকজন চলাচল করছে। নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী নল্লাপাড়া এলাকার রসুর সেতুর চিত্র এটি। সেতুটি উপজেলা সদর থেকে পাঁচগাঁও সীমান্ত সড়কে স্থানীয় মহাদেও নদীর ওপর নির্মিত। সংযোগ সড়কের মাটি সরে যাওয়া অংশ যেকোনো সময় ধসে পড়ে প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।</p> <p>জানা যায়, রসুর সেতুটি ২০১৯-২০ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রায় ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করে। সম্প্রতি বন্যার সময় ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের তীব্র স্রোতে সেতুর সংযোগ সড়কের একাংশের নিচের মাটি সরে যায়। এ সেতু দিয়েই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয় জনপদের ৩০টি গ্রামসহ সুনামগঞ্জের মহেশখোলা এলাকার হাজার হাজার মানুষ যাতায়ত করে। এ ছাড়া এই পথে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্রমণপিপাসুরাও ঘুরতে যান কলমাকান্দার সীমান্ত এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেতুটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।</p> <p>সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুর এক অংশের সংযোগ সড়কের নিচে মাটি নেই। বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে রাজধানী ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসসহ দূরপাল্লার ভারী যানবাহন চলাচল করছে এই সেতু দিয়ে।</p> <p>নেত্রকোনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকোশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ব্রিজের নিচে এখনো পানি। তাই কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছি না। তবে পানি কমছে। কয়েক দিনের মধ্যেই বালুর বস্তা ফেলে আপাতত নিরাপদে চলাচলের উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে পারব বলে আশা করছি।’</p> <p> </p> <p> </p>