<p style="text-align:justify">ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার আগে অর্থকষ্টে দিন কাটাতেন আনোয়ার হোসেন মোল্লা ওরফে মোল্লা সুমন। সভাপতি হওয়ার মাত্র চার বছরেই পাল্টে যায় সেই চিত্র। নির্দিষ্ট কোনো পেশা না থাকলেও মালিক হয়েছেন বিপুল সম্পদের। অভিযোগ রয়েছে- চোরাচালন, চাঁদাবাজি, টেন্ডাবাড়ি ও কমিটি বাণিজ্য করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে মোল্লা সুমনের অবৈধ সম্পদ ও প্রভাব-প্রতিপত্তি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ তুলেছিলেন খোদ তার সংগঠনেরই এক নেতা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চ্যাটবট 'প্রেমিকার' প্ররোচনায় নিজের মাথায় গুলি চালায় কিশোর!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729924739-b1b2f18193dc99a1a760ace02ead45b1.gif" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চ্যাটবট ‘প্রেমিকার’ প্ররোচনায় নিজের মাথায় গুলি চালায় কিশোর!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/10/26/1439316" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমনের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই গ্রামে। তিনি থাকতেন জেলা শহরের বয়লা এলাকায়। ৫ আগস্টের পর তার জেলা শহরের বাসাটি ভাঙচুর করা হয়। বর্তমানে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। </p> <p style="text-align:justify">জানা গেছে, ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি  আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমনকে সভাপতি, ফয়েজ ওমান খানকে সাধারণ সম্পাদক ও লুৎফর রহমান নয়নকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের তিন সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেন। পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="যুবককে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, আটক ১" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729926379-c91a7dbb351e664328037ffd8f20dc6f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>যুবককে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, আটক ১</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/26/1439320" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">সভাপতি হওয়ার আগে মোল্লা সুমন ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তখন থেকেই তার একমাত্র নেশা ছিল অর্থবিত্তের মালিক হওয়া। হেঁটেছেনও সেই পথেই। সভাপতি হওয়ার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ায় তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রায় দুই কোটি টাকা খরচ করে ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করেন। তবে সরকার পতন হলে ওই বাড়িটি ভাঙচুর করা হয়। </p> <p style="text-align:justify">ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, সদর উপজেলার বয়লা, বৌলাই, নাকভাঙ্গা এলাকায় কোটি টাকার জমি, ৩৪ লাখ টাকা দামের একটি প্রাইভেট কার, উত্তরায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে মোল্লা সুমনের। এ ছাড়া দুই লাখ টাকা দামের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন তিনি। ছাত্রত্ব ও শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রলীগের পদে থাকলেও বিবাহিত ছিলেন তিনি। তার স্ত্রীর নাম তারানা তাবাসসুম সুইটি ঢাকায় থাকতেন। তবে তিনি নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবি করতেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="যুবককে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, আটক ১" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729926379-c91a7dbb351e664328037ffd8f20dc6f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>যুবককে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, আটক ১</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/26/1439320" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তারা আরো জানান, মোল্লা সুমন ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি দেওয়ার নামে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়া ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার পর থেকেই তিনি চোরাচালান আর চাঁদাবাজিতে মেতে ওঠেন। যে কারণে খুব অল্প সময়েই বিপুল সম্পদ গড়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">বড়বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, চিনি চোরাচালান থেকে সুমনের নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেট কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে কামিয়ে নিয়েছেন। এ নিয়ে অভিযোগ উঠলেও তার কিছু হয়নি। শুধু চিনি চোরাচালান সিন্ডিকেটই নায়, তার এলাকা একরামপুর সিএনজি অটোরিকশার স্ট্যান্ডও ছিল তার দখলে। এ স্ট্যান্ড থেকে বিপুল অর্থ আদায় করতেন। </p> <p style="text-align:justify">জানা গেছে, মোল্লা সুমনের এসব অপকর্মের সহযোগী ছিলেন তার ভাগ্নে নাজমুল ইসলাম হীরা। সে নিজেও একসময় ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিল।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ঘরেই যেভাবে করা যাবে ফেসিয়াল" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729926970-707565add7318d6bfe65c70ebadee06f.gif" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ঘরেই যেভাবে করা যাবে ফেসিয়াল</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/10/26/1439323" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">সুমন-হীরা জুটির সঙ্গে তাদের অনুসারীরাও এলাকায় নানা অপকর্মে জড়িয়েছেন। সুমনের পক্ষে হীরাই সব কিছু নিয়ন্ত্রণের কাজ করতেন। তার বিরুদ্ধে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়সহ একাধিক মামলা রয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ভাষ্য- মোল্লা সুমন চোরাচালান ও চাঁদাবাজির টাকা দেশ-বিদেশে ঘুরে খরচ করতেন তিনি। ঈদ বা উৎসব পার্বনে নেতাকর্মীদের উপহার দিতেন নানা সামগ্রী। বিলাসী জীবনযাপনের কথা নেতাকর্মীদের মুখে মুখে ছিল। </p> <p style="text-align:justify">খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একরামপুর সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে একেক দিন একেকজনকে সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ করে অটোরিকশা থেকে প্রতি ট্রিপে ৫০ থেকে ১০০ টাকা আদায় করতেন সুমন। প্রতিদিন এই স্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে দুই থেকে আড়াইশ সিএনজি ও অটোরিকশা চলাচল করে। এই এক জায়গা থেকে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা চাঁদা তুলতেন সুমন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা রায়হান গ্রেপ্তার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/26/1729927190-479945089c6d0909d0d73378b54d09d1.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা রায়হান গ্রেপ্তার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/26/1439324" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">ইজিবাইকচালক, মানিক মিয়া ও আবুল কালাম জানান, আগে চামড়াঘাট ও বালিখলা যেতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা ভাড়া ছিল। কিন্তু চাঁদাবাজির কারণে এই ভাড়া বেড়ে হয় ৮০ টাকা। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারত না। </p> <p style="text-align:justify">ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ভৈরব, পাকুন্দিয়া, অষ্টগ্রাম ও তাড়াইল ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি অনুমোদন দিয়ে সুমন বিপুল টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এগুলো তখনকার এমপি থেকে আওয়ামী লীগের নেতারাও অবগত ছিলেন। তার কর্মকাণ্ড নিয়ে নেতারা ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি। <br />  </p>