<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২১ সালে মধ্যনগর থানাকে উপজেলা ঘোষণা করে সরকার। এর এক বছর পর ২০২২ সালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদায়নের মাধ্যমে অস্থায়ী কার্যালয় মধ্যনগর ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের একটি ভবনে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। গেজেট অনুযায়ী ২৩টি সরকারি দপ্তর ও ২১২টি পদ থাকার কথা এখানে। তবে বর্তমানে এসব পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১৮ জন। বাকি ১৯৪ পদই ফাঁকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা ঘোষণার তিন বছর পার হলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলছে না। মধ্যনগর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা, নির্বাচন কর্মকর্তা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও), শিক্ষা কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব রয়েছেন। অন্যরা তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমেশ্বরী ও উব্দাখালী নদীর তীরে গড়ে ওঠা ২২২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মধ্যনগর উপজেলা। চারটি ইউনিয়নে প্রায় দেড় লাখ মানুষ বসবাস করে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হাওর ও তৃতীয় রামসার এলাকা টাঙ্গুয়ার হাওর এ উপজেলায় অবস্থিত।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ পর্যন্ত মধ্যনগরে কয়েকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিয়োগ দেওয়া হলেও প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে তেমন কোনো প্রশাসনিক কাজ করতে পারেননি তাঁরা। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ইউএনও অতীশ দর্শী চাকমা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় বদলি হয়েছেন। এতে আরো থমকে যায় প্রশাসনিক কার্যক্রম। পরে পার্শ্ববর্তী ধর্মপাশা উপজেলায় কর্মরত ইউএনও মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। মাঝেমধ্যে তিনি এ উপজেলায় অফিস করেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল বাশার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা হলেও এখনো বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য ধর্মপাশা যেতে হয়। পূর্ণাঙ্গ দায়িত্বে ইউএনও না থাকায় আমরা প্রশাসনিক কাজে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ সিদ্দিকী কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অচিরেই আমরা একজন ইউএনও দেব। জনবলসংকট ধীরে ধীরে দূর হবে আশা করছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>