<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পাটুয়াভাঙ্গা, নারান্দী ও চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের মাঠের প্রায় ৫০০ বিঘা জমিতে দীর্ঘ চার বছর ধরে জলাবদ্ধতার কারণে ভালোভাবে দুই ফসল উৎপাদন করতে পারছে না কৃষকরা। বছরে দুটি ফসল আউশ ও আমন চাষ করলেও থাকতে হয় অনিশ্চয়তায়। বর্ষা ও টানা কয়েক দিন বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় ধানগাছ। ফলে তিন ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের ৩০০ কৃষক পরিবারের এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এলাকাবাসীর অভিযোগ, কিশোরগঞ্জ ইকোনমিক জোন (কেইজেড) কর্তৃপক্ষ পানি নিষ্কাশনের খালের মুখ বন্ধ করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করায় চার বছর ধরে এ দুর্ভোগে পড়েছে তারা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফসলের মাঠ থেকে জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিজেদের ফসল রক্ষার দাবিতে চার বছর ধরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভসহ বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও বন্ধ খালের মুখ উন্মুক্ত করতে পারেনি ভুক্তভোগীরা। সর্বশেষ খালের মুখ উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবিতে ৩ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন এলাকাবাসীর পক্ষে এ কে এম আবু তাহের নামের এক ভুক্তভোগী।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভুক্তভোগীরা জানান, উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা, নারান্দী ও চণ্ডীপাশা এই তিনটি ইউনিয়নের মাইজহাটি, বিশুহাটি, শালংকা, জুনাইল, জৈত্রা, মাসিমপুর ও পাঁচলগোটা গ্রামে পাঁচটি বিল ও প্রায় ৫০০ বিঘা ফসলি জমির মাঠ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই সব মাঠে প্রায় জমিতেই কৃষকরা তিন ফসল উৎপাদন করে আসছেন। কিন্তু ২০২০ সালের প্রথম দিকে পানি নিষ্কাশনের খালের মুখ বন্ধ করে কিশোরগঞ্জ ইকোনমিক জোন (কেইজেড) কর্তৃপক্ষ সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করার কারণে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে তিন শতাধিক কৃষককে। পানি নিষ্কাশনের জন্য সেখানে ২৫ বছর আগে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে একটি কালভার্ট (ব্রিজ) নির্মাণ করা হয়েছিল। ওই কালভার্টটিও ভেঙে ফেলে কেইজেড কর্তৃপক্ষ। সেই থেকেই পাটুয়াভাঙ্গা, নারান্দী ও চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের পাঁচটি বিল ও ৫০০ বিঘা ফসলি মাঠের পানি নিষ্কাশনের পথ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবেদনকারী মাইজহাটি গ্রামের বাসিন্দা এ কে এম আবু তাহের বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এলাকাবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এর আগেও ওই মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিজেদের ফসল রক্ষার জন্য জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু ইকোনমিক জোন কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করেনি। কৃষকের ফসল রক্ষার জন্য শিগগির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিল্লাল হোসেন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে গিয়ে কেইজেড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে দ্রুত বিষয়টি সমাধানের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>