<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নাথপাড়া মহল্লাটি আতঙ্কের এলাকায় পরিণত হয়েছে। এলাকাটি নরসুন্দা নদীর কারণে উপজেলার অন্যান্য এলাকা থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন। গত ছয় দিনে ওই এলাকার দুজনকে চারটি চিরকুট পাঠিয়ে তাদের কাছে দেড় লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে। অন্যথায় হত্যার হুমকিসহ স্ত্রী-সন্তানদেরও ক্ষতি করার কথা জানানো হয় সেই চিঠিতে। তবে সেখানে চিঠি প্রেরকের কোনো নাম-ঠিকানা লেখা নেই। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১ অক্টোবর ওই মহল্লার সুনীল চন্দ্র বর্মণের বাসার ফটকে ৫০ হাজার টাকা চেয়ে কে বা কারা চিরকুট ফেলে রেখে যায়। টাকা না দেওয়ায় এক দিন পর এক লাখ টাকা দাবি করে আরেকটি চিরকুট রেখে যায়। এতেও কোনো সাড়া না পেয়ে তৃতীয় চিরকুটে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী কাজ করতে থাকা অবস্থায় গত রবিবার একই মহল্লায় বসবাস করা বন কর্মকর্তা মো. আল-আমিনের বাসায় ৫০ হাজার টাকা দাবি করে চিরকুট ফেলে রেখে যায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা। চিরকুটে দুই দিনের মধ্যে টাকা না দিলে শিক্ষিকা স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে ওই দিন রাতে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল সোমবার সরেজমিনে গেলে মহল্লায় এক ধরনের আতঙ্ক টের পাওয়া যায়। মহল্লার বাসিন্দাদের কেউ নাম পরিচয় প্রকাশ করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতেও রাজি হয়নি। তবে হুমকি পাওয়া এক ব্যক্তির স্বজন মহল্লার আচারগাঁও উত্তরপাড়ার মোজ্জাম্মেল হক জানান, তাঁর ভগ্নিপতি কর্মস্থলে থাকেন ঢাকায়। বাড়িতে তাঁর বোন ও আড়াই বছরের ভাগ্নে ও বোনের শাশুড়ি বসবাস করেন। বোন কাছাকাছি একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। গত রবিবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ির ফটক লাগানোর সময় ফটকের ওপর পলিথিনে মোড়ানো একটি কাগজ ঝুলতে দেখা যায়। কৌতূহলবশত পলিথিন খুলে ভেতরের কাগজটি চেক করলে তাতে দেখা যায়, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চাহিদামতো টাকা না পেলে বাড়িতে আগুন জ্বলবে এবং স্ত্রী-সন্তানের ক্ষতি হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> টাকাগুলো বাড়ির কাছে বাঁধা নৌকায় রেখে দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত ওই নৌকা ব্যবহার করে বন কর্মকর্তার স্ত্রী সালমা বেগম নদী পার হয়ে কর্মস্থলে যান বলে তাঁর ভাই মোজাম্মেল জানিয়েছেন। নান্দাইল মডেল থানার ওসি ফরিদ আহমেদ বলেন, চিঠির ঘটনা নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কাজ করছে।</span></span></span></span></p> <p> </p>