<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহ বিভাগের তিন জেলা ও উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীর তীরবর্তী এলাকায় সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে। দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সব নদীর পানিই কমছে। তবে পানি কমলেও বন্যার্তদের ভোগান্তি রয়ে গেছে। বিভিন্ন জেলা থেকে কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ময়মনসিংহ : হালুয়াঘাট</span></span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> উপজেলায় উজানের পানি কমে যাওয়ায় ভুবনকুড়া, জুগলী, গাজিরভিটা, সদর ও পৌরসভার পানি অনেকটাই নেমে গেছে। তবে পাঁচ ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামের অনেক মানুষ এখনো পানিবন্দি। সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এরশাদুল আহমেদ জানান, নড়াইল, কৈচাপুর, ধুরাইল ও আমতৈল ইউনিয়নের পানি ফুলপুর হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ভালোর দিকে যাচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে হালুয়াঘাট ও ফুলপুর উপজেলায় বন্যায় আটকে পড়া বেশ কিছু পরিবারের নারী ও শিশুদের উদ্ধারের কোনো উপায় না পেয়ে স্বজনরা ফোন করে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ। ফোনকল পেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো দ্রুত তাদের উদ্ধার করে। এভাবে চরম বিপদ থেকে রক্ষা পায় ৩৭ নারী ও শিশু।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল জাতীয় জরুরি সেবার গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> রবিবার ফুলপুরের বানিজান গ্রাম এবং হালুয়াঘাটের বড় খালের পাড় এলাকা থেকে আসা ফোনে খবর পাওয়া যায়, পানিতে ডুবে যাওয়া ঘরে কয়েকজন আটকে আছে। কল টেকার কনস্টেবল সুরুজ্জামান দ্রুত ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দিয়ে আটকে পড়া লোকদের দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানান। পরে ফুলপুর ও হালুয়াঘাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, চলমান বন্যায় গতকাল পর্যন্ত তারা ফুলপুর ও হালুয়াঘাটে মোট ৪৪৫ জনকে উদ্ধার করেছে। ফুলপুরের সিংহেশ্বর, সদরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ পরিবার এখনো পানিবন্দি। তা ছাড়া ভাইটকান্দি, রামভদ্রপুর, রূপসী ও ছনধরা ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবারের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কংশ ও খরিয়া নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কংশ নদের ডেফুলিয়া-বাঁশতলা, সরচাপুর, ঠাকুরবাখাই  নদী এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। রবিবার</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> রাতে হাটপাগলা গ্রামে  স্রোতে ভেসে যাওয়া এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। নিহত ব্যক্তির নাম তৌহিদুল ইসলাম (৩৫)। নকলা উপজেলার জালালপুর গ্রামের মানিক শেখের ছেলে তিনি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শেরপুর : নালিতাবাড়ী</span></span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার উজানে অন্তত ১৫টি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। আবার ঢলের পানি ভাটির দিকে নামতে থাকায় নালিতাবাড়ীর কলসপাড়, যোগানিয়া, মরিচপুরাণ ইউনিয়ন, নকলার উরফা, পৌরসভা, গৌরদ্ধার, নকলা ও গণপদ্দি ইউনিয়ন, ঝিনাইগাতীর হাতিবান্দা ও মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন এবং সদর উপজেলার গাজীরখামার, পাকুড়িয়া, ধলা, কামারিয়া ইউনিয়নসহ এক পৌরসভা ও ১৩ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এখনো শতাধিক গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি বলে জানা গেছে। গতকাল দুপুরে নালিতাবাড়ীর কলসপাড় এলাকায় ঢলের পানিতে ডুবে জিনিয়া বেগম (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। আগের দিন রবিবার নকলায় পৃথক স্থানে ঢলের পানি থেকে আরো তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত চার দিনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯-এ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নেত্রকোনা : গতকাল</span></span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> বিকেল পর্যন্ত নেত্রকোনায় বৃষ্টি না হলেও ভাটির দুই নদী উপদাখালী ও ধনু নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে সীমান্তবর্তী সোমেশ্বরী ও কংশ নদীর পানি ধীরগতিতে কমছে। এ পর্যন্ত বন্যায় জেলার দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, পূর্বধলা, বারহাট্টা ও সদর উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নের ১২৩টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া, গাঁওকান্দিয়া, কাকৈরগড়া, চণ্ডিগড় ও বাকলজোড়া ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তিন দিন ধরে পানিবন্দি প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কুড়িগ্রাম : পাহাড়ি ঢলে জিঞ্জিরাম নদীর দুই কূল ছাপিয়ে রৌমারী ও রাজীবপুরের পাঁচটি ইউনিয়নের ৩০ গ্রাম এখনো প্লাবিত। রৌমারী উপজেলার রৌমারী সদর, যাদুরচর, চর শৌলমারী  ও দাঁতভাঙা ইউনিয়ন এবং রাজীবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নে জিঞ্জিরাম নদী দিয়ে প্রবাহিত পাহাড়ি ঢল আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি করে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রংপুর : গঙ্গাচড়ার</span></span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> মহিপুর শেখ হাসিনা সেতুর পশ্চিম পাশে রক্ষা বাঁধের আংশিক ধসে যাচ্ছে। এর ফলে হুমকির মুখে পড়েছে সেতুটি। প্রতিদিনই তিস্তা নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে শত শত একর ফসলি জমি।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>