<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভোলা সদরসহ চার উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫৪ হাজার পরিবার চাল না পেয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছে। অসহায় পরিবারের চিন্তা, আমরা কি আর ১৫ টাকা ধরে চাল কিনতে পারব? জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আহসানুল হক বলেন, প্রতিবছর মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর পাঁচ মাসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডধারী দরিদ্র পরিবারের মধ্যে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। ৫৪ হাজার পরিবারের মধ্যে এই চাল বিতরণের জন্য ভোলা জেলায় ১৭২ জন ডিলার রয়েছেন। এর মধ্যে ১০৭ ডিলার ৫ আগস্টের পর থেকে না থাকায় চাল বিতরণ করা হয়নি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৩ জন ডিলার না থাকায় চাল পায়নি প্রায় ১২ হাজার পরিবার। লালমোহনে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৬ জন ডিলার না থাকায় ১৪ হাজার ৩৮৭টি পরিবার চাল পায়নি। চরফ্যাশন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, চরফ্যাশনে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫০ জন ডিলার না থাকায় ২৪ হাজার ৩৮৭টি পরিবার এবং মনপুরায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আটজন ডিলার না থাকায় তিন হাজার ২৪৭ দরিদ্র পরিবার চাল পায়নি। এই চার উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ প্রায় সম্পন্ন। কিছুদিনের মধ্যে ৫৪ হাজার সুবিধাভোগী দরিদ্র পরিবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধা ভোগ করবে। চরফ্যাশন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু বকর সিদ্দিক কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৫ আগস্টের পর ভোলায় ১৭২ জন ডিলারের মধ্যে ১০৭ জন লাপাত্তা হয়ে গেছেন। কার্ডধারীদের মধ্যে চাল বিতরণের কথা চিন্তা করে নতুনভাবে ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে চাল দিতে পারব। হতাশ হওয়ার কিছু নেই, নতুন ডিলারের মাধ্যমে প্রকৃত কার্ডধারীরাই এই চাল পাবে। অনলাইন করা এই কার্ডধারী ছাড়া অন্য কাউকে এ চাল দিতে পারবে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের ৩০ কেজি চাল পেত ৫৪ হাজার দরিদ্র পরিবার। সেপ্টেম্বর মাসের চাল না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে তারা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চরফ্যাশনের আসলামপুর এলাকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডধারী ছালেখা বেগম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা দরিদ্র পরিবার। নরমালে বাজারে এক কেজি চাল ৫০ টাকা। আমরা স্বল্প আয়ের মানুষ এক কেজির টাকা দিয়ে তিন কেজি কিনতে পারি। দ্রুত আমাদের চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন আপনারা। আমরা পাঁচ মাসে যে চাল পাই, এই চাল দিয়ে প্রায় পুরো বছর চলে যায়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>