<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দিন দিন অপচনশীল পলিথিনের যত্রতত্র ব্যবহারে ভরাট হচ্ছে নদী-নালা, খাল-বিল। দূষিত হচ্ছে পানি। বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে বাতাসে। পলিথিনের দূষণে জনস্বাস্থ্য ও প্রকৃতি-পরিবেশ হুমকিতে পড়ছে। শুধু তাই নয়, পলিথিন বর্জ্যের কারণে উর্বরতা হারাচ্ছে মাটি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে বরগুনার আমতলী পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার সর্বত্রই পলিথিনের ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে আমতলী এমইউ বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে, আখড়াবাড়ী, সরকারি কলেজের পেছনে, সরকারি এ কে স্কুলের উত্তর পাশে, উপজেলা কমপ্লেক্সের গেটে, মাছবাজার, চৌরাস্তা ফেরিঘাট সড়কের দক্ষিণ পাশে ও পল্লবী এলাকায় অতিরিক্ত পলিথিনের আবর্জনার স্তূপ তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া পৌর শহরের মধ্যে নির্দিষ্ট ময়লা ফেলার স্থান না থাকায় শহরের বাসিন্দারা তাদের বাসায় থাকা ময়লা-আবর্জনা পলিথিন ব্যাগে ভরে যত্রতত্র ফেলে যাচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিবেশদূষণের কারণে ২০০২ সালে সরকার পলিব্যাগ নিষিদ্ধ করলেও উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে কেজি দরে বিভিন্ন সাইজের ওই নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি করা হচ্ছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ওই পলিথিন বিক্রির সঙ্গে জড়িত। মাছ-মাংস, তরিতরকারি, ফলমূল থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র জিনিসপত্রসহ প্রতিটি পণ্যই এখন পলিথিনের ব্যাগে ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারা ওই সব ব্যবহৃত পলিথিন নদী-নালা, খাল-বিল, নর্দমা, মাঠ, রাস্তাঘাটসহ যত্রতত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে যাচ্ছে। এতে যেমন পানি দূষিত হচ্ছে, তেমনি বাতাসে বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। এমনকি পলিথিন বর্জ্যের কারণে দিন দিন উর্বরতাও হারাচ্ছে মাটি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমতলী নতুন বাজারের মাছ বাজারের বিক্রেতা রুবেল দুয়ারী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের শহরে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে পলিথিনের ব্যবহার। মাছ-মাংস, তরিতরকারি, ফলমূল থেকে শুরু করে প্রতিটি পণ্যই এখন পলিথিনের ব্যাগে করে ক্রেতাদের হাতে আমরাই তুলে দিচ্ছি। ওই পলিথিনে যেমন নদী-নালা, খাল-বিল ভরাট হয়ে যাচ্ছে, তেমনি রাস্তাঘাটে অতিরিক্ত পলিথিনের আবর্জনার স্তূপ তৈরি হচ্ছে। দুর্গন্ধে রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটা পর্যন্ত যায় না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাজীপুর গ্রামের কৃষক মনিরুল ইসলাম ও প্রিন্স মৃধা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নিষিদ্ধ পলিথিন আমাদের জমির উর্বরতা কমিয়ে ফেলছে। এখন আর আগের মতো ফলন হচ্ছে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমতলী মফিজ উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরাইয়া জাহান বলে, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের বিদ্যালয়ের সামনে জমে থাকা পলিথিনের বর্জ্যের দুর্গন্ধে আমরা ঠিকমতো ক্লাস করতে পারি না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমতলী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জসিম উদ্দিন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা জানি, পরিবেশদূষণের কারণে পলিথিনকে সরকার নিষিদ্ধ করেছে। শুধু কাগজে-কলমে আইন থাকলে হবে না, তা প্রয়োগ করে পলিথিনের ব্যবহার ও বিক্রি বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. চিন্ময় হাওলাদার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পলিথিনে বর্জ্য আমরা যত্রতত্র ফেলছি। এটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। নর্দমাগুলোয় পলিথিন আটকে থাকে। এতে পানি জমে থাকে। পানি জমে থাকায় মশার বংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছু মানুষকে দেখা যায়, বর্জ্য পদার্থ আগুনে পোড়াচ্ছে। পলিথিন পোড়ালে এর প্রভাব পড়ে মানবদেহে। এমনকি এতে মানব শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার ও বিক্রির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযান চলমান আছে।</span></span></span></span></p> <p> </p>