<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই বাসার নিচে সাত বছর বয়সী বাসিত খান মুসার মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এখন তার চিকিৎসা চলছে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউচারনিভার্সিটি হাসপাতালে। গতকাল শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য শাহরিয়ার মাহমুদ ইয়ামিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রায় চার মাস পর শিশুটি চোখ মেলে তাকিয়েছে। হাত-পা নাড়ছে, ধরে তাকে বসানো যাচ্ছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইয়ামিন বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সিঙ্গাপুরে শিশুটির চিকিৎসা বাবদ সরকার প্রথম ধাপে এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা পাঠিয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আরো এক কোটি টাকা পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এর বাইরে সরকারি খরচে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা চলছে তিনজনের। আরো ১০ থেকে ১২ জনকে বিদেশে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মুস্তাফিজুর রহমান ও নিশামনি দম্পতির একমাত্র সন্তান মুসা। পরিবারটির বসবাস রাজধানীর রামপুরার মেরাদিয়া হাট এলাকায়। মালিবাগে মুসার বাবা ও দাদার ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান আছে। গত ১৯ জুলাই মেরাদিয়া হাট এলাকায় নিজ বাসার নিচে মুসাকে আইসক্রিম কিনে দিতে নেমে নাতিসহ দাদি মায়া ইসলাম (৬০) গুলিবিদ্ধ হন। মায়া ইসলাম পরদিন মারা যান। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইয়ামিন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিঙ্গাপুরে গিয়ে শুরুতেই মুসার করোনা ধরা পড়ে। পরবর্তীকালে করোনা থেকে কিছুটা সুস্থ হয়ে পুরোদমে চিকিৎসা শুরু হয়। এখন তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নত। কোনোভাবেই যেন তার চিকিৎসা ব্যাহত না হয়, সেদিকে সরকার সর্বোচ্চ নজর রাখছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> এর আগে গুলিবিদ্ধ মুসাকে প্রথমে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে কয়েক দিন চিকিৎসা শেষে তাকে নেওয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় তাকে গত ২২ অক্টোবর এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়।</span></span></p>