<p style="text-align:justify">পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের আবর্তে আটকা পড়েছে। ফলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশ তার প্রধান প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে আশানুরূপ সমর্থন পায়নি।’</p> <p style="text-align:justify">আজ শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে বে অব বেঙ্গল সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘গত আট বছরে, আমাদের প্রতিবেশী, বড় প্রতিবেশীদের কাছ থেকে আমরা যতটা সমর্থন আশা করেছিলাম, তা আসেনি।’</p> <p style="text-align:justify">ভূ-রাজনৈতিক জটিলতার ব্যাখ্যায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রশ্ন আসে, চীন কেন বাংলাদেশের পক্ষে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসছে না? কারণ বঙ্গোপসাগরের জন্য মিয়ানমার তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে ভারতও মনে করে কালাদান প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ এবং এই প্রকল্পের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জলবায়ু অর্থায়ন লক্ষ্যমাত্রা ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণের দাবি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/16/1731751202-d792b8b490aef953d009f0fbd3211c80.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জলবায়ু অর্থায়ন লক্ষ্যমাত্রা ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণের দাবি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/11/16/1447253" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে দোষারোপ করছি না, সবাই নিজের স্বার্থ দেখে। কিন্তু এটা রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের স্বার্থের সঙ্গে মিল আছে বলে মনে হয় না এবং যার জন্য বিষয়টি দীর্ঘায়িত হয়েছে এবং টানেলের শেষে কোনো আলো দেখা যাচ্ছে না। এটি খুব দ্রুত এবং খুব সহজে সমাধান হবে বলে আমি মনে করি না। তবে একটি বিষয় এখানে উল্লেখ করতে চাই; তা হলো এই সমস্যার সমাধান না হলে, এটি বাকি বিশ্বের জন্য সমস্যা হয়ে উঠবে।’</p> <p style="text-align:justify">রোহিঙ্গা তরুণদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বাড়তে থাকা উদ্বেগের কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ‘যে তরুণ প্রজন্ম যাদের ভবিষ্যতের কোনো আশা নেই, তারা অলস বসে থেকে অন্যরা কী করছে, তা দেখবে এটা হতে পারে না। একটা সময় আসবে যখন তারা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, আমাদের প্রতিবেশী ও অন্যান্য দেশের জন্যও গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।’</p>