<p>শিল্পীরা একের পর গাইলেন জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে উৎসাহজাগানিয়া সেই সব গান। ‘আওয়াজ উডা, কথা ক’-এর মতো উজ্জীবনী সংগীতে সজীব হয়ে উঠল হেমন্তের সন্ধ্যা।</p> <p>শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চে গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয় ‘গণ-অভ্যুত্থানের গান’। এই আয়োজনে র‌্যাপ সংগীত পরিবেশন করে ‘আওয়াজ উডা’ খ্যাত শিল্পী হান্নান ও তাঁর দল। ছিল যিন ব্রাদার্সের পরিবেশনা। একক কণ্ঠে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী আহমেদ হাসান সানী। শুরুতেই তিনি গেয়ে শোনান মৃদুল দাশগুপ্তের কবিতা ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’। কবিতাকে গানের সুর দিয়ে শিল্পী গেয়ে চলেন—ক্রন্দনরতা জননীর পাশে/এখন যদি না-থাকি/কেন তবে লেখা, কেন গান গাওয়া/কেন তবে আঁকাআঁকি?’। এরপর তিনি পরিবেশন করেন ‘শহরের দুইটা গান’। এ ছাড়া সংগীত পরিবেশন করে ব্যান্ডদল এফ মাইনর, ডেমোক্রেজি ক্লাউন, লুম্বিনী চাকমাসহ আরো অনেকে।</p> <p>শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়র মা শামসী আরা জামান। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মোহাম্মদ আশরাফুল।</p> <p>সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, বেনজির যে বিপ্লব ছাত্র-জনতা এনেছে, সেখানে হতাশার ঠাঁই নেই। বাংলাদেশ জানে কিভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয় ও প্রতিরোধ করতে হয়।</p> <p>সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, ‘শিল্পকলা একাডেমি জনবান্ধব শিল্পকলা চায়। সমাজের কেন্দ্রে শিল্পকর্ম স্থাপন করতে চাই আমরা এবং কষ্টের ভেতরেও জীবনকে উদযাপন করতে চাই। সবাই মিলে এমন একটা দেশ গড়তে চাই, যেখানে আর বৈষম্য থাকবে না। এবার যেন শুধু স্বপ্ন দেখতে না হয়। সবাই যেন সজাগ থাকে। এ জন্য নাটক ও গান করছি আমরা।’</p> <p> </p> <p> </p>