<p>রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। এরপর দীর্ঘ আট ঘণ্টা সব ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এতে রাজধানী থেকে ট্রেন ছাড়ছে আট থেকে ১০ ঘণ্টা দেরিতে। ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা।</p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে কোনো বগি উল্টে যায়নি। কেউ আহতও হয়নি। এই দুর্ঘটনায় রেলের স্বয়ংক্রিয় অপারেটিং সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ম্যানুয়ালি ট্রেন চালানো হচ্ছে, যে কারণে ছাড়তে অনেক দেরি হচ্ছে।</p> <p>কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৯টার দিকে লাইন মেরামত করা হলেও ট্রেন চলাচলে গতি ফেরেনি। সকাল ১১টা পর্যন্ত দু-একটি ট্রেন ছাড়া বেশির ভাগ ট্রেন ছেড়ে যায়নি কমলাপুর থেকে। কমলাপুর রেলস্টেশনের আটটি প্ল্যাটফরম থেকে ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে রওনা দেয়। এসব প্ল্যাটফরম থেকে ট্রেনগুলোকে স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে লাইন পরিবর্তন করে মেইন লাইনে তুলে দেওয়া হয়।</p> <p>কিন্তু দুর্ঘটনার কারণে স্বয়ংক্রিয় অপারেটিং সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে এটি কাজ করছে না। এ জন্য ম্যানুয়ালি ট্রেনের লাইন পরিবর্তন করে মেইন লাইন দিয়ে ট্রেন চালানো হচ্ছে। এ কারণে একটি ট্রেন কমলাপুর থেকে বের করতে এবং প্রবেশ করাতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগছে।</p> <p>এর ফলে নির্ধারিত সময়ে কোনো ট্রেন ছেড়ে যেতে পারছে না। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় কমলাপুর রেলস্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের চরম ভিড় লক্ষ করা গেছে। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, রেল থেকে সঠিক নির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে না; ট্রেন কখন ছাড়বে বা আদৌও ছাড়বে কি না।</p> <p>রাজশাহীগামী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী মোহাম্মদ জুবায়ের বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ট্রেনটি কখন ছেড়ে যাবে, কখন আসবে, আদৌ ছাড়বে কি না তার কোনো সঠিক তথ্যই দিতে পারে না রেল। স্টেশনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেখা পাওয়া যায় না। ঘণ্টায় ট্রেনের শিডিউল পরিবর্তন করা হচ্ছে, কিন্তু নির্ধারিত সময় ট্রেন ছাড়ছে না। প্ল্যাটফরমে বসে ভোগান্তি পোহানো ছাড়া যাত্রীদের আর কোনো কাজ নেই। যেন ট্রেনের টিকিট কেটেই বড় ভুল হয়েছে।’</p> <p>কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় স্বয়ংক্রিয় অপারেটিং সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাই ট্রেন দেরিতে ছাড়ছে। বর্তমানে ট্রেন ম্যানুয়ালি অপারেট করতে অনেক সময় লাগছে। আজ পুরো রাত লেগে যেতে পারে এই সিস্টেম ঠিক করতে। তবে এখনো কোনো ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়নি। তবে ট্রেন বেশ দেরিতে ছেড়ে যাচ্ছে। যারা যেতে চাচ্ছে না, তাদের টিকিট কাউন্টারে থেকে ডিফান্ড করা হচ্ছে।</p> <p> </p> <p> </p>