<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুর অঞ্চলে বেড়েই চলছে সব ধরনের সবজির দাম। কৃষকের কাছ থেকে এসব সবজি হাতবদল হতেই কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা ফড়িয়াদের পকেটে ঢুকছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে ৯০ হাজার ২৩৬ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এত সবজি চাষ হওয়ার পরেও কেন দাম বেশি তা জানতে গতকাল রবিবার সরেজমিন মিঠাপুকুরের বলদীপুকুর এলাকা ও রংপুর সিটি পাইকারি এবং খুচরা বাজারে যান এই প্রতিবেদক। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বলদীপুকুর এলাকার কৃষক সজীব মিয়া জানান, জমি থেকে বা জমি থেকে বাজারে আনার পর প্রতি কেজি বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় কেনেন পাইকাররা। তাঁর মতে, এখন অসময়ে বৃষ্টি হচ্ছে, গাছ মরে যাওয়ায় বেগুন জমিতেই না থাকায় দাম বেশি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একই এলাকার কৃষক আব্দুল বারি জানান, মুলার কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পটোল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, করলা ৩৫ টাকা, বরবটি ৩৬ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষক ফজলু মিয়া বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সার এবং কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে। যে কীটনাশকের দাম ছিল ৩০ টাকা, সেটা এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। ২০ শতক জমিতে বেগুন চাষ করে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার টাকা খরচ গেছে। আরো খরচ হবে। সব ঠিক থাকলে মাত্র ৭-৯ হাজার টাকা লাভ হতে পারে। কিন্তু বৃষ্টি হলে সেটাও হবে না, লোকসান হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে কৃষকের সবজি রংপুর সিটি পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ টাকা বেশিতে। পটোল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, বেগুন প্রকার ভেদে ৫০-৬০ টাকা, মুলা ৪০-৪৫ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা কেজি দরে। অথচ বলদীপুকুর পাইকারি বাজার থেকে রংপুর সিটি বাজারের দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বলদীপুকুর হাটে ওবায়দুর রহমান নামের এক পাইকারি ক্রেতা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এখানে ৪০ টাকা দরে কেজি কিনলে পরিবহন ভাড়া, বাজারের টোল খরচসহ ৫০ টাকা পড়ে। তাহলে আমরা কি ১০ টাকা লাভ করব না? এত টাকা লগ্নি করে কেজিতে ১০ টাকা লাভ না হলে শ্রমিককে বেতন দেব কী দিয়ে, নিজের সংসার চালাব কিভাবে?</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুর সিটি বাজারের পাইকারি বিক্রেতা সোহেল রানা জানান, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজারে মাল না থাকায় দাম তো বেশি হবেই।</span></span></span></span></p>