<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রসায়নবিদরা শত বছর ধরেই এটা মেনে এসেছেন, জৈব অণুগুলো এতটাই অস্থিতিশীল যে এগুলোর সাহায্যে দরকারি কোনো নতুন উপাদান তৈরি করা বলতে গেলে অসম্ভব ব্যাপার। অবশেষে একাধিক রসায়নবিদের উপমাবিহীন প্রচেষ্টার ফল হিসেবে জানা গেল, অতীতের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অসম্ভব</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> এখন নতুন সম্ভাবনার সব কটি দরজা মেলে ধরতে পারছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উল্লেখ্য, জৈব অণু দুই প্রকার। একটি হলো বৃহৎ জীবজ অণু (ম্যাক্রোমলিকিউল), যাদের মধ্যে প্রোটিন বা দেহসার, শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট, স্নেহজাতীয় পদার্থ বা লিপিড ও নিউক্লিয়িক এসিড ইত্যাদির অণু অন্তর্ভুক্ত। দ্বিতীয় দলটি হলো ক্ষুদ্র জীবজ অণু (স্মল মলিকিউল), যাদের মধ্যে খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন ও উদ্বোধক গ্রন্থিরস বা হরমোন থাকে। আবার জৈব অণুর চারটি উপাদানের মধ্যে কার্বন অন্যতম। এসব কার্বনের আবার নির্দিষ্ট আকার থাকে। আর এ আকার দেখেই বোঝা যায় জৈব অণুর বন্ড বা বন্ধন কেমন হতে পারে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিজ্ঞানীরা বলছেন, কিছু অবাধ্য জৈব অণু রয়েছে, যেগুলো অ্যান্টি-ব্রেদত ওলেফিনস (</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">ABOs</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">) নামে পরিচিত। এসব জৈব অণু এতটাই অস্থিতিশীল যে এগুলোর অস্তিত্ব নিয়েই সন্দেহ জাগতে পারে। তারা এসব জৈব অণুর বন্ধনরীতির রহস্য ভেদ করেই ক্ষান্ত হননি; এসব জৈব অণু কিভাবে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের উপাদান হতে পারে, সেটাও বুঝতে পেরেছেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির রসায়নবিদ ক্রেইগ উইলিয়ামস তাঁর সাড়া-জাগানো এই অসামান্য আবিষ্কার সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন এভাবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যেকোনো বিবেচনায় গবেষণা কর্মটি অসাধারণ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সায়েন্স নামক সাময়িকীতে গবেষকরা তাঁদের এই আবিষ্কারের কথা জানিয়েছেন।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উল্লেখ্য, ওলেফিনস নামক জৈব যৌগটি অ্যালকিনেস নামেও পরিচিত। কারণ এই জৈব যৌগের হাইড্রোকার্বন প্রায়ই উন্নততর ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এটির কার্বন পরমাণুর মধ্যে এক বা একাধিক দ্বৈতবন্ধন থাকে, যার ফলে পরমাণুগুলো একটি সমতলে সাজানো হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৯২৪ সালে জার্মানির জৈব রসায়নবিদ জুলিয়াস ব্রেদত প্রস্তাব করেছিলেন, ছোট্ট জৈব অণু দুটো চাকতি দিয়ে গঠিত হয়, যা পরমাণুর দ্বৈতবন্ধন ঘটাতে পারে। কিন্তু চাকতিগুলোর দুটো কার্বন অণু যখন একসঙ্গে থাকে, তখন দ্বৈতবন্ধন গড়ে উঠতে পারে না। এটাই ব্রিজহেড পজিশন নামে পরিচিত। কারণ অণুর দ্বৈতবন্ধন পরমাণুগুলোকে অস্থির বানিয়ে ফেলে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অবশ্য এর আগে পরিচালিত বেশ কটি গবেষণায় গবেষকরা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন, অ্যান্টি-ব্রেদত ওলেফিনস তৈরি করা অসম্ভব কিছু নয়। রসায়নবিদ ক্রেইগ উইলিয়ামস অবশেষে সেই আপাত অসাধ্য কাজটিই করে দেখালেন। সূত্র : নেচারডটকম</span></span></span></span></p>